চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়ন হচ্ছে অভিন্ন সমৃদ্ধির আধুনিকায়ন
অক্টোবর ১৭: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) বিংশতম জাতীয় কংগ্রেস গতকাল (রোববার) বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে।
সিপিসির ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাতে কর্ম-প্রতিবেদন পেশ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
প্রতিবেদনে তিনি অভিন্ন সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন এবং তার বাস্তবায়নে বিস্তারিত পদক্ষেপ তুলে ধরেছেন। যেমন: বণ্টন ব্যবস্থা সুসম্পন্ন করবে, কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে, সামাজিক নিশ্চয়তা ব্যবস্থা উন্নয়ন করবে ও গণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ করে গড়ে তুলবে ইত্যাদি।
অভিন্ন সমৃদ্ধি হল প্রাচীনকাল থেকে চীনা মানুষের প্রত্যাশা। আড়াই হাজার বছর আগে দার্শনিক ও শিক্ষক কনফুসিয়াসের মতবাদে প্রথম বারের মতো এ কথা উল্লেখ করা হয়। গেল ১০ বছরে চীনে ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার মানুষ দারিদ্রমুক্ত হয়েছে এবং ২০২০ সালে চীনে মাঝারি আয়ের মানুষের সংখ্যা হয়েছে ৪০ কোটির বেশি। ২০২১ সালে চীনে নির্মিত হয়েছে সচ্ছল সমাজ। তা প্রথম শতবর্ষের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেছে।
সিপিসির বিংশতম জাতীয় কংগ্রেসে সি চিন পিং বলেছেন, এখন থেকে চীনে শুরু হয়েছে সার্বিক আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ নির্মাণের নতুন যাত্রা এবং চলতি শতাব্দীর মাঝা-মাঝি সময়ে চীনকে একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশে পরিণত করা হল দ্বিতীয় শতবর্ষের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলার শুরু।