‘চীনের সঙ্গে সুসম্পর্কের ধারা অব্যাহত থাকবে’
নভেম্বর ২৩, সিএমজি বাংলা, ঢাকা: সরকার পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্কের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। শুক্রবার রাতে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত ‘চাইনিজ কালচার নাইট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সিএমজি বাংলাকে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক সেটা বাংলাদেশে কোন সরকার আছে সেটার ওপর কখনও নির্ভর করে না। সরকার পরিবর্তন হয়েছে পার্টি পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু প্রতিটি সরকার চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমি নিশ্চিত এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশ ও চীনের দীর্ঘ বন্ধুত্বের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আরও দৃঢ় হচ্ছে। তিনি দুই দেশের বন্ধুত্ব গভীর করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইয়াও ওয়েন জানান, ২০২৪ সালে চীনা দূতাবাস বাংলাদেশে ৪০টিরও বেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ চায়না কালচারাল ইকোনোমিক অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন সেন্টারের প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরি, শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শাহ ই আলম, ড্যাফোডিল ফ্যামিলি গ্রুপের সিইও অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুজজামান, অ্যাবকার প্রেসিডেন্ট মুন্সি ফয়েজ আহমাদ, বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্সশিপ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রানা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে চীনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট এবং শান্ত-মারিয়াম হোংহ্য কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের এবং চীনা দূতাবাস ও বিসিএফসি আয়োজিত শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বকে আরও দৃঢ় করতে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু গড়ে তুলতে সাংস্কৃতিক বিনিময় অন্যতম প্রধান মাধ্যম বলে মত প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অতিথিরা।
চীনের সংস্কৃতির সুরে ছন্দে তারা হৃদয়ে ধারণ করেন চীনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ।
শান্তা/ফয়সল