চীন ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের বৈঠক
নভেম্বর ১৯: ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সাথে বৈঠক করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ। গতকাল (সোমবার) সকালে জি টোয়েন্টির শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তারা এ বৈঠক করেন।
বৈঠককালে সি জোর দিয়ে বলেন যে, অস্ট্রেলিয়ার সাথে আরো স্থিতিশীল ও সাফল্যমণ্ডিত দ্বিপাক্ষিক সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক স্থাপন করতে ইচ্ছুক বেইজিং। তিনি বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে বেইজিংয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘকালীন উন্নয়ন নিয়ে গভীর মতবিনিময় করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে দু’দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও আদান-প্রদান বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সি জোর দিয়ে বলেন যে, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোনো স্বার্থের সংঘাত নেই। তাই পারস্পরিক সম্মান ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, চলতি বছরে ২৫০টিরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান শিল্পপ্রতিষ্ঠান চীনের আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশ নিয়েছে, যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এটিও চীনা অর্থনীতি ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় অস্ট্রলিয়ান শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আস্থার প্রতীক। অস্ট্রেলিয়া থেকে আরো বেশি গুণগতমানের পণ্যদ্রব্য আমদানি করতে ইচ্ছুক বেইজিং। অস্ট্রেলিয়ায়, চীনা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজি বিনিয়োগে ক্যানবেরা আরো সমতা, স্বচ্ছ আর বৈষ্যমহীন পরিবেশ প্রদান করবে বলে আশা করেন তিনি। চীন ও অস্ট্রেলিয়া উভয়েই স্বাধীন বাণিজ্যের সমর্থক ও রক্ষকারী, তাই সহযোগিতা জোরদার করে বাণিজ্যের সংরক্ষণবাদ বিরোধিতা করা উচিত, যাতে উন্মুক্ত পরিবেশে বিভিন্ন দেশের সুযোগ-সুবিধা বিনিময় করা যায়।
জবাবে আলবেনিজ বলেন যে, অস্ট্রেলিয়া ও চীনের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক স্থাপনের দশম বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্ট সি’র সাথে দেখা করা বেশ আনন্দের ব্যাপার। গত বছর আমার চীন সফরের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশ ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছেৱ, তা দু’দেশের জনগণকে বাস্তব কল্যাণ বয়ে এনেছে।
তিনি আরো বলেন, দৃঢ়ভাবে একচীন নীতি অনুসরণ করবে তার দেশ। ক্যানবেরা বাণিজ্যের বিচ্ছিন্নতা বিরোধিতা করে এবং অর্থনীতির বিশ্বায়নে সমর্থন দেয়। জ্বালানি সম্পদ রূপান্তর আর জলবায়ু পরিবর্তনে চীনের সাথে সহযোগিতা করতে আগ্রহী তাঁর অস্ট্রেলিয়া। চীনের উন্নয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ২০২৬ সালে এপেকের আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে অস্ট্রেলিয়া চীনকে সমর্থন দেবে বলেও জানান আলবেনিজ।