বাংলা

ব্রাজিলের গণমাধ্যমে সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধ প্রকাশিত

CMGPublished: 2024-11-17 17:51:24
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ১৭: ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয় জি২০ নেতাদের ১৯তম শীর্ষসম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং ব্রাজিল সফর উপলক্ষ্যে রোববার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দেশটির গণমাধ্যমে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।

প্রবন্ধে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার আমন্ত্রণে শিগগিরি তাঁর ব্রাজিল সফর অনুষ্ঠিত হবে এবং জি২০ নেতাদের রিও ডি জেনিরো শীর্ষসম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রেসিডেন্ট সি।

দু’শতাধিক বছর আগে, চীনের চা, লিচু, মশলা ও পোর্সেলিন সাগর পারি দিয়ে ব্রাজিলে পৌঁছেছিল। যা দু’দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক লেনদেনের সেতু হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল এবং দু’দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের মাধ্যমে পরিণত হয়েছিল।

১৯৭৪ সালের ১৫ অক্টোবর চীন ও ব্রাজিল আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। ৫০ বছর ধরে, দু’দেশের সম্পর্ক নিজেদের উন্নয়নকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়েছে, বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে এবং দুটি বড় উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে সহযোগিতা, উভয়ের জয় ও অভিন্ন কল্যাণ প্রতিষ্ঠার মডেল হিসাবে কাজ করে আসছে।

তিনি জানান, দুপক্ষ সবসময় পরস্পরকে সম্মান করেছে, সম-আচরণ করেছে এবং পরস্পরের জনগণের বাছাই করা উন্নয়নের পথকে অনুধাবন ও সমর্থন করে আসছে। চীনের সাথে কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী প্রথম দেশ ব্রাজিল। চীনের সাথে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী প্রথম লাতিন আমেরিকার দেশও ব্রাজিল। দু’দেশের সম্পর্ক সবসময় চীন ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্পর্কের সামনের সারিত রয়েছে।

তিনি জানান, চীন ও ব্রাজিলের উচিত আরও ঘনিষ্ঠভাবে একতা জোরদার করা এবং হাতে হাত রেখে একযোগে সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া।

তিনি জানান, চীন ও ব্রাজিলের উচিত দু’দেশের বন্ধুত্বের দিক বজায় রাখা, দু’দেশের পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতামূলক নতুন প্রাণশক্তি উন্নত করা এবং দু’দেশের জনগণের বন্ধুত্বের ভিত্তি মজবুত করা।

প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ও ব্রাজিলের উচিত একতা ও পারস্পরিক সাহায্যকারী বড় দেশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।

তিনি আরও জানান, এবার ব্রাজিলে সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো জি-২০ নেতৃবৃন্দের শীর্ষসম্মেলনে উপস্থিত হওয়া। জি-২০ হচ্ছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। একটি ন্যায্য বিশ্ব নির্মাণ বাস্তবায়ন করতে চাইলে, জি-২০র দরকার পারস্পরিক সম্মান, সমতার ভিত্তিতে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক কল্যাণ ও উভয়ের জয়ের ভিত্তিতে, ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোর আরও বড় উন্নয়নে সমর্থন দেওয়া।

পাশাপাশি, একটি টেকসই পৃথিবী নির্মাণ করতে চাইলে, জি-২০র উচিত টেকসই উৎপাদন পদ্ধতি ও জীবনযাপনের পদ্ধতি এবং মানুষ ও প্রকৃতির সমন্বিত সহাবস্থান বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা।

প্রেসিডেন্ট সি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, জি২০ নেতাদের রিও শীর্ষসম্মেলনে অবশ্যই সফল হবে। প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার সঙ্গে একযোগে চীন-ব্রাজিল সম্পর্কের নতুন ‘সোনালী ৫০ বছরে’ প্রবেশের ক্ষেত্রে দিক-নির্দেশনা দেওয়া এবং আরও ন্যায্য ও টেকসই অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn