বাংলা

চীন-মার্কিন প্রেসিডেন্টদ্বয়ের বৈঠকের ফলাফল

CMGPublished: 2024-11-17 17:27:28
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ১৭: পেরু সময় গতকাল (শনিবার) বিকালে লিমায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক করেছেন। চীন এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের বিস্তারিত বিষয়ও অবহিত করেছে।

এক বছর পর প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও বৈঠক করলেন। দুই পক্ষ বিগত চার বছরে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গতিপথ পর্যালোচনা করেছে, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে এবং মার্কিন সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সংলাপ ও সহযোগিতার উন্নয়ন, পার্থক্য নিয়ন্ত্রণ এবং অভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আন্তরিক, গভীর ও গঠনমূলক যোগাযোগ করেছে।

দুই রাষ্ট্রপ্রধান কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তাঁরা চীন-মার্কিন সম্পর্কের দিকনির্দেশনার নীতিতে দুই পক্ষের উপনীত সাত-দফা ঐকমত্য পুনর্নিশ্চিত করেছেন। যেমন- পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, যোগাযোগ রক্ষা, সংঘাত প্রতিরোধ, জাতিসংঘ সনদ মেনে চলা, সহযোগিতা অভিন্ন স্বার্থের ক্ষেত্র, এবং দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ, প্রতিযোগিতামূলক কাজ ইত্যাদি। উভয় পক্ষই এ নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখতে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে ইচ্ছুক।

দুই রাষ্ট্রপ্রধান চীন-মার্কিন কৌশলগত যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা দলের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ এবং দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংলাপ প্রক্রিয়া, অর্থনীতি, বাণিজ্য, অর্থ ও অন্যান্য খাত ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। দু’পক্ষ সামষ্টিক অর্থনীতির সমন্বয় জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।

দুই রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্বাস করেন যে, উভয় পক্ষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে আন্তরিক ও গঠনমূলক সংলাপ করেছে। যৌথভাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে নিজ নিজ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছে। এই ভিত্তিতে, দুই রাষ্ট্রপ্রধান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার ঝুঁকি মোকাবিলা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিরাপত্তা উন্নত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং ভালো ও সর্বজনীন সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রচারের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করেছেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধান নিশ্চিত করেছেন যে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা উচিত। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন যে, সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো সাবধানের কথা বিবেচনা করা উচিত এবং সামরিক খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি- বিচক্ষণ ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বিকাশ করা উচিত।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn