বাংলা

‘মহাপ্রাচীর থেকে মাচু পিচু’ ডকুমেন্টারি লিমায় প্রচারিত হয়েছে

CMGPublished: 2024-11-16 22:14:23
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ১৬: পেরু সময় গতকাল (শুক্রবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজির ডকুমেন্টারি ‘মহাপ্রাচীর থেকে মাচু পিচুর’ প্রিমিয়ার এবং সংশ্লিষ্ট কেচুয়া সোশ্যাল মিডিয়া পেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেশটির রাজধানী লিমায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের উপ-প্রচারমন্ত্রী এবং সিএমজি’র মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং, পেরুর কুসকো প্রদেশের গভর্নর লুইস বেল্টরান পান্তোজা ক্যালভো অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। পেরুর সংস্কৃতিমন্ত্রী, পেরুর ন্যাশনাল রেডিও এবং টেলিভিশন গ্রুপের নির্বাহী চেয়ারম্যানসহ পেরুর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, একাডেমিক এবং মিডিয়া মহলের ২০০জন প্রতিনিধি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

জনাব শেন হাই সিয়োং বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সম্প্রতি ‘এল পেরুয়ানো’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলেন, চীন ও পেরুর মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সংযোগ প্রাচীন সভ্যতার প্রজ্ঞার মধ্যে নিহিত, একে-অপরের ইতিহাসের উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত এবং তা পারস্পরিক উপকারি সহযোগিতায় গভীরতর হয়েছে। সম্প্রতি, দুই দেশের রেডিও ও টেলিভিশন বিভাগ ‘মহাপ্রাচীর থেকে মাচু পিচুর’ প্রিমিয়ার আয়োজন করেছে, যা চীন ও পেরুর বন্ধুদেরকে আরও গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। ইনকা সভ্যতার ব্যাপকতা ও গভীরতা এবং মাচু পিচুর ধ্বংসাবশেষ বিশ্বকে বিস্মিত ও মুগ্ধ করেছে। চীনের মহাপ্রাচীর, মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল মুক্তা, চীনা সভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক এবং চীনা জাতির ক্রমাগত আত্ম-উন্নতির আধ্যাত্মিক চেতনাকে মূর্ত করেছে। শক্তিশালী প্রভাবসহ একটি বিশ্বমানের নতুন মূলধারার মিডিয়া হিসেবে, সিএমজির লক্ষ্য বিনিময় প্রচার করা, বিশ্বাস প্রকাশ করা এবং বোঝাপড়া বাড়ানো। ডকুমেন্টারি ‘মহাপ্রাচীর থেকে মাচু পিচু’ চীন ও পেরুর মধ্যে সভ্যতার আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক শিক্ষার গল্পকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করে এবং মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজের ধারণার গভীর অর্থ ব্যাখ্যা করে। এ অনুষ্ঠানে সিজিটিএন আনুষ্ঠানিকভাবে কেচুয়া ভাষায় একটি সামাজিক মিডিয়া পেজ চালু করেছে। এই প্ল্যাটফর্মটি কেচুয়া-ভাষীদের কাছে বৈশ্বিক এবং চীনের উন্নয়নের তথ্য দেবে এবং তাদের জন্য চীন ও বিশ্বকে বোঝার জানালা খুলে দেবে।

‘মহাপ্রাচীর থেকে মাচু পিচু’ ডকুমেন্টারিটি যৌথভাবে তৈরি করেছে সিএমজি, পেরুর বৈদেশিক বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পেরুর ন্যাশনাল রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন গ্রুপ। এটি মহাপ্রাচীর ও মাচু পিচু- এই দুটি আইকনিক স্মৃতিস্তম্ভকে লেন্সের ভাষায় চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছে, চীন ও পেরুর চমৎকার সভ্যতা তুলে ধরেছে। এটি বিশ্বব্যাপী চীনা, ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি, রাশিয়ান ও কেচুয়া- এই ৭টি ভাষায় মুক্তি পাবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn