বাংলা

এপেক বিজনেস লিডারস সামিটে লিখিত বক্তৃতা দিয়েছেন সি চিন পিং

CMGPublished: 2024-11-16 16:56:21
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নভেম্বর ১৬: পেরু সময় গতকাল (শুক্রবার) সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং লিমায় অনুষ্ঠিত এপেক বিজনেস লিডারস সামিটে ‘যুগের প্রবণতা ধরা এবং যৌথভাবে বিশ্ব সমৃদ্ধির প্রচার করা" শীর্ষক একটি লিখিত ভাষণ দিয়েছেন।

বক্তৃতায় সি উল্লেখ করেছেন, এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলি গভীরভাবে অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং অভিন্ন স্বার্থ ও অভিন্ন কল্যাণের সমাজে পরিণত হয়েছে, যেখানে সবার উন্নয়ন হয় এবং কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়। বিশ্ব অস্থিরতা ও পরিবর্তনের একটি নতুন সময়ে প্রবেশ করেছে এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতি কোথায় যাবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন সামাজিক উত্পাদন শক্তি বিকাশের জন্য জরুরি এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি অনিবার্য সাফল্য। বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর আরও ভালোভাবে উপকার করার জন্য অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন সঠিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, প্রথমত, বিশ্ব অর্থনীতির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবন-চালিত পদ্ধতি মেনে চলা উচিত। দ্বিতীয়টি হলো, সময়ের সাথে অগ্রসর হওয়া এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কার প্রচার করা। তৃতীয়টি হলো, জনগণকে প্রথমে রাখা এবং ভারসাম্যহীন উন্নয়ন সমস্যার সমাধান করা।

সি জোর দিয়ে বলেন, গত ৩০ বছরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাফল্য আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতি এবং সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতা ও উন্মুক্ত আঞ্চলিকতার দাবি থেকে উদ্ভূত।

সি চিন পিং উল্লেখ করেন যে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন সংস্কারকে আরও ব্যাপকভাবে গভীর করার জন্য এবং চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন উন্নীত করার জন্য পদ্ধতিগত ব্যবস্থা নিয়েছে। চীন ব্যাপকভাবে সংস্কার আরও গভীর করবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে গতিশীল শক্তি যোগাবে। এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চীনের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে তার ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। চীন উচ্চ-মানের উন্নয়ন প্রচার করবে এবং গুণমান ও দক্ষতার উন্নয়নে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেবে। চীন অটলভাবে সবুজ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চীন একটি নতুন উচ্চ-স্তরের উন্মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে এবং বিশ্বের সঙ্গে তার উন্নয়নের সুযোগগুলি ভাগাভাগি করবে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্য ও সহযোগিতাকে শক্তিশালী করা, বিশ্বকে সমৃদ্ধ করা এবং মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনে আরও শক্তি যোগ করার আহ্বান জানান সি চিন পিং।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn