চ্যাঙ্কে বন্দর উদ্বোধন করলেন চীন ও পেরুর প্রেসিডেন্টরা
সি চিন পিং এবং বোলুয়ার্তে দুই দেশের পরিবহন বিভাগের প্রধানদের দ্বারা তৈরি রিপোর্ট শোনেন এবং একসাথে চ্যাঙ্কে বন্দর প্রকল্পের ভিডিও দেখেন। প্রকল্প সাইটে চীন এবং পেরুর প্রতিনিধিরা বন্দর উদ্বোধন কাজ শুরুর জন্য দুই প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে নির্দেশনা চান। দুই প্রেসিডেন্ট আদেশ জারি করেন, ‘বন্দর চালু করুন!’
সি চিন পিং চ্যাঙ্কে বন্দরের সফল উদ্বোধনে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং মহামারীর অসুবিধাগুলো কাটিয়ে ওঠে একসাথে কাজ করার এবং গুণমান ও পরিমাণে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য দুই দেশের নির্মাতাদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সি চিন পিং বলেন, মাত্র কয়েক বছরে, একটি আধুনিক বন্দর যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা অনুপ্রেরণাদায়ক।
বন্দরটি কেবল একটি গভীর-জলের বন্দর নয়, দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম স্মার্ট বন্দর এবং সবুজ বন্দরও। এটি পেরুর জন্য বিশাল সুবিধা নিয়ে আসবে, বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে, কার্যকরভাবে স্থল ও সমুদ্রকে সংযুক্ত করবে এবং এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকাকে সংযুক্ত করবে, যা পেরুর মর্যাদাকে সুসংহত করবে। ২০০০ বছরেরও বেশি আগে, চীনা জাতির পূর্বপুরুষরা উত্তাল ঢেউ পেরিয়ে যাত্রা করেছিলেন এবং পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযোগকারী মেরিটাইম সিল্ক রোড তৈরি করেছিলেন। ৫০০ বছরেরও বেশি আগে, পেরুর পূর্বপুরুষরা, ইনকারা কষ্ট এবং বিপদে ভীত না হয়ে পাহাড়ের উপরে উঠেছিলেন এবং আন্দিজের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত ইনকা ট্রেইল তৈরি করেছিলেন। আজ, চ্যাঙ্কে বন্দরটি ‘নতুন যুগে ইনকা ট্রেইল’-এর একটি নতুন সূচনা পয়েন্ট হয়ে উঠছে। চ্যাঙ্কে থেকে শাংহাই পর্যন্ত, আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি, তা হল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের যৌথ নির্মাণ শুধুমাত্র পেরুতে শিকড় ও ফুল ফোটানো নয়, নতুন যুগে একটি নতুন এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার স্থল-সমুদ্র করিডোরের জন্মও দিয়েছে।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চ্যাঙ্কে বন্দরকে ভালভাবে নির্মাণ ও পরিচালনা করতে এবং পরিবহন ক্ষমতা ও ব্যাপক পরিষেবার স্তরকে ক্রমাগত উন্নত করতে আমাদের অবশ্যই একসাথে কাজ করতে হবে।