বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে তিং স্যুয়ে সিয়াং
নভেম্বর ১৪: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বিশেষ প্রতিনিধি, সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর স্থায়ী কমিটির সদস্য, ও দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী থিং স্যুয়ে সিয়াং, গত ১২ ও ১৩ নভেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে আয়োজিত, জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষসম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, চলতি বছর জলবায়ু পরিবর্তন-সম্পর্কিত ‘জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন’ কার্যকর হওয়ার ৩০তম বার্ষিকী। একটি নতুন সূচনা বিন্দুতে দাঁড়িয়ে, সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করতে, সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য, সাধারণ কিন্তু আলাদা দায়িত্বের নীতি হল ভিত্তিপ্রস্তর। উন্নত দেশগুলোকে বৃহত্তর উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও পদক্ষেপ দেখাতে হবে, কার্বন নির্গমন হ্রাসে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হবে, এবং ‘কার্বন নিরপেক্ষতা’ অর্জনের তারিখকে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। চীন ২০৬০ সালের মধ্যে ‘কার্বন নিরপেক্ষতা’ অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে।
থিং বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার সমাধানের জন্য মূলত উন্নয়ন-পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। বৈদ্যুতিক যানবাহন, লিথিয়াম ব্যাটারি এবং ফটোভোলটাইক শিল্পে চীনের উচ্চ-মানের উত্পাদন-ক্ষমতা বিশ্বের সবুজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করছে। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত ন্যায্য, সুশৃঙ্খল ও সমতাসম্পন্ন উপায়ে শক্তির স্থানান্তর ত্বরান্বিত করতে একসাথে কাজ করা।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার ক্ষমতা বাড়াতে পুঁজি ও প্রযুক্তি হল মূল সমর্থনী শক্তি। এই সম্মেলন-পরবর্তী পর্যায়ে, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্মের ক্ষেত্রে আস্থা ও গ্যারান্টি প্রদানের জন্য, আরও শক্তিশালী নতুন অর্থায়নের লক্ষ্যে পৌঁছানোর ব্যাপারে আশা করা যায়।