ইতালির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লি ছিয়াংয়ের বৈঠক
নভেম্বর ৯: চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং আজ (শনিবার) সকালে মহাগণভবনে ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলার সাথে বৈঠক করেছেন।
বৈঠককালে লি ছিয়াং বলেন, বর্তমানে চীন-ইতালি সম্পর্ক সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন বজায় রেখেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা ক্রমবর্ধমানভাবে গভীর হচ্ছে এবং ক্রমাগত নতুন বাস্তব ফলাফল অর্জিত হচ্ছে। গতকাল, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রেসিডেন্ট মাত্তারেলার সাথে বৈঠক করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সম্পর্কিত প্রধান বিষয়গুলোর উপর গভীরভাবে আলোচনা করেন। চীন দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার ২০তম বার্ষিকীকে কাজে লাগিয়ে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে, সর্বাত্মক পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো উচ্চমানে এগিয়ে যেতে ইতালির সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।
লি ছিয়াং বলেন, চীন দ্বিমুখী উন্মুক্তকরণের প্রচার করতে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধার স্তরের উন্নতি অব্যাহত রাখতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতার প্রশস্ততা ও গভীরতা প্রসারিত করতে, উদ্ভাবন এবং সবুজ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য নতুন বৃদ্ধির পয়েন্ট তৈরি করতে, পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে এবং অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রচার করতে ইতালির সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। চীনে বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য চীন আরও ইতালীয় কোম্পানিকে স্বাগত জানায় এবং আশা করে যে, ইতালি সেদেশে চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য একটি ন্যায্য, নিরাপদ এবং অ-বৈষম্যহীন ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করবে। উভয়পক্ষের উচিত চীন-ইতালীয় সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ব্যবস্থার সভার ফলাফল বাস্তবায়ন করা, সাংস্কৃতিক ও পর্যটন, মিডিয়া ও শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রের সহযোগিতা আরও গভীর করা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগকে আরও উন্নত করা। চীন-ইইউ সম্পর্কের সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চীন, ইতালির সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার করতে ইচ্ছুক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মাত্তারেলা বলেন যে, ইতালি এবং চীন উভয়ই প্রাচীন সভ্যতাসম্পন্ন দেশ, এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বর্তমানে উন্নয়নের একটি ইতিবাচক এবং স্থির গতি বজায় রাখে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিস্তৃত সম্ভাবনা আছে। ইতালি চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়ন করা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ, সবুজ উন্নয়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলাসহ নানা ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা গভীর করতে চীনের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।