বাংলা

চীনের পারমাণবিক নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অপবাদ নিয়ে চীনা নিরস্ত্রীকরণ রাষ্ট্রদূতের প্রতিক্রিয়া

CMGPublished: 2024-10-19 17:01:19
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

অক্টোবর ১৯: চীনের পারমাণবিক নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশের অপবাদ নিয়ে চীনা নিরস্ত্রীকরণ রাষ্ট্রদূত শেন চিয়ান এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি খেলাপি হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) জাতিসংঘ অধিবেশনের প্রথম কমিটির পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শেন চিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের পারমাণবিক নীতি বিকৃত করার অপচেষ্টা বন্ধ করা। চীন ৬০ বছর ধরে পারমাণবিক অস্ত্র প্রথম-ব্যবহার না করার নীতিতে অবিচল রয়েছে, চীনের পারমাণবিক নীতি উচ্চমাত্রায় স্থিতিশীল, ধারাবাহিক ও পূর্বাভাসযোগ্যতা বজায় রেখেছে। এর আগে চীন আবারও দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করে যে, পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পারস্পরিক ‘প্রথম-ব্যবহার না করার পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি’ স্বাক্ষর করবে বা এ নিয়ে রাজনৈতিক বিবৃতি প্রকাশ করবে । যুক্তরাষ্ট্র এই বাস্তবতা উপেক্ষা করে বারবার চীনের পারমাণবিক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। চীন জানতে চায় যে, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি অনুমান, না বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে? এটা কি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, নাকি অন্যান্য দেশকে কোনঠাসা করার ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য?

শেন চিয়ান বলেন, চীন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম স্তরের পারমাণবিক শক্তি বজায় রেখেছে। চীন অতীতে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। চীনের পারমাণবিক কৌশল হল আত্মরক্ষা, অন্যান্য দেশের নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা নয়। চীনের পারমাণবিক সম্প্রসারণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুজব ছড়ানো বন্ধ করা উচিত, পারমাণবিক বিষয় ব্যবহার করে দ্বন্দ্ব স্থানান্তর করা, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংলাপ সম্পর্কে মিথ্যা আখ্যান ছড়ানো বন্ধ করা এবং শক্তিশালী হলে আধিপত্যবাদী হবে এই যুক্তি দিয়ে চীনকে বিবেচনা বন্ধ করা।

তিনি আরও বলেন, ‘পারমাণবিক জোটে’ অংশগ্রহণকারী কিছু দেশ বক্তৃতায় ইচ্ছাকৃতভাবে চীন ও রাশিয়াকে লক্ষ্য করে, কিন্তু অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশের পারমাণবিক অস্ত্রাগার আপগ্রেড, পারমাণবিক সাবমেরিন সহযোগিতা ইত্যাদি কাজের কিছুই উল্লেখ করেনি, এতে তাদের দ্বৈতমান স্পষ্টভাবে দেখা যায়। মতাদর্শগত সীমারেখা টেনে এবং শিবির সংঘাতকে উস্কে দিয়ে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এগিয়ে নেয় অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn