আফ্রিকায় চীনের ভূমিকার প্রশংসায় মিসরীয় কূটনীতিক
আগস্ট ১১, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: আফ্রিকার শিল্পায়নে সহায়তায় বড় ভূমিকা পালন করবে চীন। কারণ দেশটি এমন সাফল্য অর্জন করে চলেছে যা আফ্রিকার জনগণসহ সকলের উপকার করবে। সম্প্রতি চায়না ডেইলিকে এমনটা বলেছেন মিসরীয় কাউন্সিল ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্সের অ্যাম্বাসেডর সদস্য মাগেদ রেফাত আবুলমাগদ।
আফ্রিকার শিল্পায়ন, কৃষি আধুনিকায়ন এবং প্রতিভা বিকাশকে সমর্থন করার জন্য গত বছর চীন-আফ্রিকা নেতাদের সংলাপে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের দেওয়া তিনটি প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন মাগেদ, যে প্রস্তাবে রয়েছে আফ্রিকার উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য চীনের রূপরেখা প্রণয়ন, আফ্রিকায় কৃষি বিনিয়োগ বাড়াতে চীনা কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দেওয়া এবং আফ্রিকার ১০ হাজার কর্মীকে চীনা ভাষা ও বৃত্তিমূলক দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া।
ভবিষ্যতের চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার বিষয়ে আবুলমাগদ বলেন, দুই পক্ষকে টেলিযোগাযোগ, শিল্প বিনিয়োগ এবং আর্থিক প্রযুক্তিতে আরও সহযোগিতার উৎস খুঁজে বের করতে হবে। জনগণের আদান-প্রদানের মাধ্যমে চীনা ও আফ্রিকানদের মধ্যে শিক্ষা-সংস্কৃতির সেতু নির্মাণের গুরুত্বের ওপরও জোর দেন তিনি।
চলতি বছরের চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার ফোরামের শীর্ষ সম্মেলন আগামী সেপ্টেম্বরে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। মিসরীয় এ কূটনীতিক বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, এটি চীন ও আফ্রিকার জন্য সহযোগিতার দৃষ্টিভঙ্গিগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম হবে।
বিভিন্ন বড় উদ্যোগের মাধ্যমে বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও উন্নয়নে চীনের ক্রমবর্ধমান ভূমিকার প্রশংসা করে আবুলমাগদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে চীনের প্রস্তাবিত সমাধানকে স্বাগত জানায়।
তিনি আরও বলেন, ব্রিকস হলো উদীয়মান অর্থনীতির গোষ্ঠী। চীন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
বিশ্বব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, এই বছর মিশরের অন্তর্ভুক্তির সাথে, ব্রিকস সদস্যরা এখন বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৪৬ শতাংশ এবং বিশ্বব্যাপী জিডিপির এক চতুর্থাংশেরও বেশি আসছে এই দেশগুলো থেকে।
আবুলমাগদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে সহায়তার জন্যও চীনের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বিশ্বে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
ফয়সল/নাহার
তথ্য ও ছবি: চায়না ডেইলি