তেং লিসিন
তেং লিসিনের আরেক নাম স্টেফি ট্যাং। তিনি ১৯৮৩ সালের ১৫ অক্টোবর চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। চীনের কুয়াংতোং প্রদেশের তোংকুয়ান শহর তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান। তিনি চীনের হংকংয়ের একজন গায়িকা ও অভিনেত্রী। তিনি মেয়েদের ব্যান্ড কুকিজের সদস্য ছিলেন।
বন্ধুরা, স্টেফি’র আরও গল্প আপনাদের আমি পরে বলবো। তবে, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদের তাঁর একটি গান শোনাতে চাই। গানের নাম ‘ভালো কাজ শোধ করা হয়’। গানটি তিনি গেয়েছেন হংকংয়ের অন্য একজন গায়ক অ্যালেক্স ফংয়ের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে।
২০০০ সালে স্টেফি একটি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইএমআই রেকর্ড কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং অন্য আটটি মেয়েকে সাথে নিয়ে “কুকিজ” নামের ব্যান্ড গড়ে তোলেন। তিনি ব্যান্ডের প্রধান হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজ জগতে পা রাখেন। ২০০২ সালের আগস্টে ব্যান্ডের প্রথম ইপি ‘হ্যাপি বার্থডে’ প্রকাশিত হয়। কিন্তু পরবর্তী বছর অর্থের অভাবে ব্যান্ডের সদস্য চার জনে নেমে আসে। আগস্ট মাসে চার জনকে নিয়ে গঠিত ব্যান্ড অ্যালবাম ‘অল দা বেস্ট’ প্রকাশ করে। এতে স্টেফি’র একক গান “সে আমাকে কাঁদতে নিষেধ করে”-ও অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে, কুকিজ “Cookies 4 Play” নামের অ্যালবাম প্রকাশ করে। এতে স্টেফি এবং তার গ্রুপের সদস্য ফু ইংয়ের সঙ্গে গাওয়া দ্বৈত গান “আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব” রাখা হয়।
২০০৫ সালের মার্চ মাসে কুকিজ ব্যান্ড ভেঙ্গে যায়। স্টেফি স্বাধীনভাবে নিজের কেরিয়ার গড়তে শুরু করেন। তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম “Coloring Stephy” একই বছরের আগস্টে প্রকাশিত হয়। এতে মোট দশটি গান অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রথম গান “Colors”-এর ইন্সট্রুমেন্টাল শৈলী ছাড়া, বাকী নয়টি গানের শৈলী বা ভাষা ছিল হংকংয়ের শৈলীর। দশটি গানের মধ্যে চারটি হলো তাঁর কুকিজ সময়কালের পুরনো গানের নতুন সংস্করণ। তিনি অ্যালবামের পাঁচটি গান নিজে লিখেছেন। “লিটল রেড রাইডিং হুড” গানটি রূপকথার আলোকে রচিত। তাঁর নিজের রচনা “নীল জুতা” গানটিতে নীল জুতা ও একটি ছেলের ব্যর্থ প্রেমের গল্প বলা হয়েছে। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে এখনই আমি গান দু’টি আপনাদের শোনাচ্ছি, কেমন? শুনুন তাহলে “লিটল রেড রাইডিং হুড” এবং “নীল জুতা”।
গত শনিবার ছিল চীনের ঐতিহ্যবাহী চান্দ্র পঞ্জিকায় সপ্তম মাসের সপ্তম দিন বা ছিসি দিবস। স্টেফিও “ছিসি” নামে গানটি গেয়েছেন। তাহলে এখনই আমি গানটি আপনাদের শোনাই এবং আপনাদের ছিসি দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। কেমন?
গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে আজকে ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের শেষ গান হিসেবে আমি আপনাদের স্টেফি’র আরেকটি গান শোনাতে চাই। গানের নাম ‘নো ওয়ান নোওজ’ বা কেউই জানে না।