ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াং ই’র বৈঠক

জুলাই ২৪: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা আজ (বুধবার) কুয়াংচৌতে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, চীন ও ইউক্রেন একে অপরের বন্ধু। এক দশকের বেশি সময় আগে দু’দেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইউক্রেন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগে যোগদানকারী প্রথম দেশগুলোর একটি। পাশাপাশি, চীন ইউক্রেনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্রুত বেড়েছে।

তিনি বলেন, দু’দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। চীন ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্যের আমদানি বাড়াবে এবং ইউক্রনের সাথে যৌথভাবে খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ইউক্রেন কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে সেদেশে অবস্থানরত চীনা মানুষ ও সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলেও বেইজিং আশা করে।

ওয়াং ই আরও বলেন, ইউক্রেনে সংঘর্ষ চলছে তিন বছর ধরে। চীন বরাবরই রাজনৈতিক পদ্ধতিতে মতবিরোধ ও সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করে আসছে। চীন মনে করে, যেকোনো সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। চীন রুশ-ইউক্রেন শান্তি প্রতিষ্ঠার যেকোনো উদ্যোগকে সমর্থন করে। চীন ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাবে।

জবাবে কুলেবা বলেন, চীন একটি মহান দেশ। চীন হলো ইউক্রেনের কৌশলগত ও গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতামূলক অংশীদার। তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থানকে সমর্থন করে ইউক্রেন। ইউক্রেন চীনের সাথে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা জোরদার, এবং অর্থ-বাণিজ্য ও কৃষি ক্ষেত্রের সহযোগিতা উন্নয়নে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, চীনের প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেয় ইউক্রেন। তাঁর দেশ রাশিয়ার সাথে সংলাপ ও আলোচনা করতে চায়। অবশ্য, আলোচনা একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে, বুদ্ধিমান ও সারগর্ভ হওয়া উচিত।