বাংলা

বেইজিংয়ে সি-ওরবান বৈঠক

CMGPublished: 2024-07-08 18:39:15
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুলাই ৮: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ সোমবার সকালে, বেইজিংয়ের তিয়াওইয়ুথাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানের সাথে বৈঠক করেছেন।

সি চিন পিং উল্লেখ করেন যে, দু’মাস আগে, তিনি হাঙ্গেরিতে সফল রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন। সেই সফরে চীন-হাঙ্গেরি সম্পর্ককে একটি নতুন যুগের সর্বকালের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করা হয়েছে, যা চলতি বছরে দুই দেশের মধ্যে এর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫তম বার্ষিকীকে নতুন ঐতিহাসিক তাত্পর্য দেবে এবং দুই দেশকে উচ্চ-পর্যায়ের উন্নয়ন শক্তির অনুপ্রেরণা যোগাবে।

প্রেসিডেন্ট সি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পালাক্রমিক প্রেসিডেন্ট দেশ হওয়ায় হাঙ্গেরিকে অভিনন্দন জানান। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, চীন ও ইউরোপের মধ্যে কোনও ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নেই এবং স্বার্থেরও কোন মৌলিক দ্বন্দ্ব নেই। চীন-ইইউ সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে এবং তাদের স্থিতিশীল ও স্বাস্থ্যকর উন্নয়ন বজায় রাখা উচিত এবং যৌথভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা উচিত। আগামী বছর চীন এবং ইইউ’র মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে উভয় পক্ষের উচিত অংশীদারদের সঠিক অবস্থান এবং সহযোগিতার মূলধারাকে মেনে চলা, দ্বিমুখী উন্মুক্তকরণ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা ও অবদান রাখা এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এগিয়ে নিতে অবদান রাখা। আশা করা যায় যে, ইইউ’র পালাক্রমিক প্রেসিডেন্ট হিসাবে হাঙ্গেরি চীন-ইইউ সম্পর্কের সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এবং ইতিবাচক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

ওরবান বলেন, দুই মাস আগে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং হাঙ্গেরিতে একটি ঐতিহাসিক ও সফল সফর করেছেন। বর্তমান অশান্ত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মোকাবিলায়, চীন শুধু শান্তিই ভালোবাসে না, বরং অনেকগুলো গঠনমূলক ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগও এগিয়ে নিয়েছে। চীন তার নিজস্ব বাস্তব কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, চীন বিশ্ব শান্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থিতিশীল শক্তি। হাঙ্গেরি চীনের সাথে সহযোগিতা জোরদার করার পক্ষে এবং ইইউর পালাক্রমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইইউ-চীন সম্পর্কের সুস্থ বিকাশকে সক্রিয়ভাবে উন্নীত করতে ইচ্ছুক।

উভয়পক্ষ ইউক্রেন সঙ্কটের বিষয়ে গভীর আলোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট সি ইউক্রেনের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের জন্য ওরবানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে যুদ্ধবিরতি বন্ধ করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ শেষ করা সকল পক্ষের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রধান শক্তিগুলো নেতিবাচক শক্তির পরিবর্তে ইতিবাচক শক্তি প্রয়োগ করলেই কেবল এই সংঘাত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখতে পাবে। চীন এবং হাঙ্গেরি একই মৌলিক প্রস্তাব ও প্রচেষ্টার দিকনির্দেশনা ভাগ করে নিয়েছে। চীন, হাঙ্গেরি এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn