বাংলা

২০২৪ সালে বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি দলের চীন সফর উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত

CMGPublished: 2024-06-06 16:31:16
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

জুন ৬: গত মঙ্গলবার ২০২৪ সালে চীনে বাংলাদেশের যুব নেতা প্রতিনিধি দলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শাংহাই আন্তর্জাতিক গবেষণাগারে আয়োজন করা হয়েছে। শাংহাই আন্তর্জাতিক গবেষণাগারের প্রধান, চীন গবেষণা কেন্দ্রের (বাংলাদেশ) একাডেমি কমিশনের চেয়ারম্যান ছেন তুং সিয়াও, শাংহাই শহরের বিদেশি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুই খাই প্রমুখ নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

শাংহাই শহরের বিদেশি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুই খাই বলেন, চীন গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা হল দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মতৈক্য বাস্তবায়নে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেন্দ্রের উদ্যোগে, চীনে বাংলাদেশের প্রথম যুব প্রতিনিধি দল সফরে এসেছে, যা খুব ভালো একটি সূচনা। তিনি তিনটি আশা ব্যক্ত করেছেন, প্রথমত, ঘনিষ্ঠ বিনিময় জোরদার করা, মৈত্রী বাড়ানো। চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। তিনি আশা করেন, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এবং বাংলাদেশের বন্ধুরা বেশি করে চীনে আসবেন। দ্বিতীয়ত, বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়ানো। বর্তমানে, বাংলাদেশ জোরালোভাবে জাতীয় অর্থনৈতিক নির্মাণ ও উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শাংহাইয়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সবচেয়ে প্রাণবন্ত অনুশীলন এবং চীনা আধুনিকায়নের সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে। অবকাঠামো, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নগর শাসন এবং অন্যান্য বিষয়ে শাংহাইয়ের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সাথে শেয়ার ও বিনিময় করা যেতে পারে। তৃতীয়ত, তরুণ নেতারা মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগটি "সোনার বঙ্গোপসাগরে" উষ্ণ ভূমিতে প্রস্ফুটিত হয়েছে। তরুণ বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য একসাথে কাজ করা উচিত এবং মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনের অংশগ্রহণকারী, অনুশীলনকারী হওয়া উচিত।

শাংহাই আন্তর্জাতিক গবেষণাগারের প্রধান ছেন তুং সিয়াও বলেন, চীন গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে আরো বেশি চীনা পন্ডিত ও বিশেষজ্ঞদের ‘বাংলাদেশে যাওয়া’ সহজ হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞদের ‘চীনে আসায়’ সাহায্য করে। তাই প্রতি বছর চীন গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ বিনিময় প্রকল্প এবং যুব নেতাদের বিনিময় প্রকল্প স্থাপন করে।

বাংলাদেশের যুব নেতা প্রতিনিধি দলের প্রধান মিজানুর রহমান বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায়, বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে চীন থেকে দরকারি অভিজ্ঞতা শিখতে পারে এবং একে অপরের শক্তি থেকে শিখতে পারে। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করে এবং দ্বিপাক্ষিক শিক্ষাগত সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। চীনে আসা এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন বাংলাদেশের সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, মিডিয়া এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তরুণরা। চীন ও চীনের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের বোঝাপড়া শক্তিশালী করা যাবে। তিনি বলেন, প্রতিনিধি দল এই সফরের সুযোগ লালন করবে এবং চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে সক্রিয় অবদান রাখবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn