৬৪ বছর বয়সী প্রবীণ লিউ ছাই ইয়ুনের বিমান চালনার স্বপ্ন-পূরণ

আশাপাশের অনেক মানুষ এটাকে অবিশ্বাস্য মনে করে যে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী কেউ একজন পাইলটের লাইসেন্সের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। একটি স্পোর্টস এয়ারক্রাফটের পাইলটের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য লিউ ছাই ইয়ুন তার পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে উড়তে শিখেছিলেন। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য উড়তে শেখার সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর দেড় বছর লেগেছিল। এই প্রক্রিয়া চলাকালে তিনি যে উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন, তাতে তিনি প্রায় হাল ছেড়ে দিচ্ছিলেন।
বহু বছর ধরে পর্যটন শিল্পে কাজ করছেন বলে লিউ ছাই ইয়ুন বিমান চালানোর ক্ষেত্রে অনেক বন্ধুর সাথে পরিচিত হয়েছেন। শৈশব থেকেই তিনি উড্ডয়নের বিষয়ে অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি আবার নীল আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেন। ২০২২ সালের মে মাসে তিনি টেস্ট ফ্লাইটে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রবিধান অনুযায়ী, যে সকল শিক্ষার্থী পাইলট লাইসেন্স পায় তাদের অবশ্যই মোট ৩১ ঘন্টার বেশি উড্ডয়ন অনুশীলন করতে হয়। প্রশিক্ষণের চতুর্থ ঘন্টায় লিউ ছাই ইয়ুন হাল ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করেছিলেন। সেই সময়ে বেই হু বিমানবন্দরের বাইরে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময়ে ইঞ্জিন চালু করার পরে কেবিনের উচ্চ তাপমাত্রা এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের শারীরিক পরিশ্রমের কারণে তিনি মনোসংযোগ ধরে রাখতে পারতেন না। তবে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে লিউ ছাই ইয়ুন এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে সক্ষম হয়েছেন।
২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বরে লিউ ছাই ইয়ুন অবশেষে কাঙ্ক্ষিত পাইলট লাইসেন্স পান। তাঁর মতে, প্রত্যেকের জীবনে সীমাহীন সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে এবং অধ্যবসায়ী হলে যে কারো আকাশে ‘ওড়ার’ স্বপ্ন সত্যি হতে পারে।
