সিএমজি সম্পাদকীয়: ‘অতিরিক্ত উত্পাদন ক্ষমতা’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যত ভুল
একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের হৈচৈ তার বিশ্বাস করা পশ্চিমা অর্থনীতির তুলনামূলক সুবিধা তত্ত্বকে লঙ্ঘন করেছে। এই তত্ত্ব অনুসারে, যদি একটি দেশ কম খরচে একটি পণ্য উত্পাদন করতে পারে, তাহলে অন্য দেশগুলোর শুল্ক বাধা সৃষ্টি করা উচিত নয়, বরং এই পণ্য আমদানি করা এবং তাদের তুলনামূলক সুবিধার পণ্য রপ্তানি করা উচিত। চীনের নতুন-জ্বালানি পণ্য যে কারণে তুলনামূলক সুবিধা তৈরি করতে পারে, তা সরকারি ভর্তুকির উপর নির্ভর করে না, বরং নির্ভর করে কোম্পানিগুলোর স্বাধীন উদ্ভাবন, সম্পূর্ণ শিল্প ও সরবরাহ চেইন, অতি-বৃহৎ বাজার এবং প্রচুর মানব সম্পদের উপর।
এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মানুষ অভিযোগ করেছে, চীনের নতুন-জ্বালানি শিল্প মার্কিন কোম্পানি ও মানুষের কর্মসংস্থানকে প্রভাবিত করছে। ব্লুমবার্গ ওয়েবসাইট সম্প্রতি গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতিটি জটিল বায়ু শক্তির উপাদানের স্থানীয় সরবরাহ চেইন সমস্যা রয়েছে; ইউরোপে উপাদানের অভাবও আরও গুরুতর হচ্ছে। কেবল চীন সরবরাহ চেইন স্থিতিশীল বজায় রাখে, যাতে বায়ু শক্তি সুষ্ঠুভাবে উন্নয়ন করতে পারে। এই উদাহরণ দেখায় যে, নতুন-জ্বালানি শিল্পের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। আর গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি শিল্পের কর্মী ধর্মঘটের কারণে চীন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি রপ্তানি বাড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জারি করা ‘মূল্যস্ফীতি হ্রাস আইন’ ঐতিহ্যবাহী গাড়ি উত্পাদনকারী শ্রমিকদের বেকারত্বের চাপের মুখে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এটা বোঝা উচিত, চীনের নতুন-জ্বালানি পণ্য মার্কিন বাজারে প্রবেশে বাধা দিলে তা ভোক্তাদের স্বার্থের ক্ষতি করবে এবং বিশ্বব্যাপী সবুজ রূপান্তর ও উদীয়মান শিল্পের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। মিথ্যা আখ্যান তৈরি করার পরিবর্তে, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিজের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা উন্নত করা।