বাংলা

‘পাপুয়া নিউ গিনি চীনের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে’

CMGPublished: 2024-04-21 15:57:34
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এপ্রিল ২১: পাপুয়া নিউ গিনি বরাবরের মতো ভবিষ্যতেও চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। স্থানীয় সময় আজ (রোববার) সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে পোর্ট মোরেসবিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।

তাঁর দেশের ‘এক চীন-নীতি’-তে অবিচল থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মারাপে আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রধান কাজ হলো অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করা। চীনের উন্নয়ন বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রেরণা যোগায় এবং অন্যান্য দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে। তাঁর দেশও চীনের সফল অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সাথে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে, এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে কাজ করে যেতে ইচ্ছুক।

বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, প্রধানমন্ত্রী মারাপে দৃঢ়ভাবে চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি মেনে আসছেন। আর, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও বহু বছর ধরে তাঁর সাথে কৌশলগত বিনিময় করে আসছেন। নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও মৈত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য দৃঢ় নিশ্চয়তা দিয়েছে। চীন ও পাপুয়া নিউ গিনির সহযোগিতা অব্যাহতভাবে প্রসারিত হচ্ছে। পাপুয়া নিউ গিনির উন্নয়নের পথে, চীন দেশটির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহযোগী ও অংশীদার। চীন দেশটির সাথে অবাধ বাণিজ্যচুক্তির আলোচনা দ্রুততর করতে, আর্থ-বাণিজ্য, জ্বালানী, অর্থ, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। এতে দু’দেশের জনগণের জন্য আরও বেশি কল্যাণ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।

ওয়াং ই আরও বলেন, চীন বিশ্বাস করে, সকল দেশ আন্তর্জাতিক সমাজের সমান সদস্য; সবার বিকশিত হবার ও স্বাধীনভাবে নিজের উন্নয়নপথ বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। দ্বীপদেশগুলোকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে, চীন সর্বদা চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর দেওয়া তিনটি নীতি মেনে চলে: কোনো রাজনৈতিক শর্ত নেই, কোনো চাপ নেই, এবং কোনো "ব্ল্যাঙ্ক চেক" নেই।

তিনি বলেন, দ্বীপদেশগুলোর সাথে চীনের সহযোগিতা হল উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমর্থন, বন্ধুদের মধ্যে পারস্পরিক সাহায্য, এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর উদ্দেশ্য হল সাধারণ উন্নয়ন অর্জন এবং মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলা।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn