বাংলা

চীন নয়, যুক্তরাষ্ট্রই বল প্রয়োগের কূটনীতিতে অভ্যস্ত: বেইজিং

CMGPublished: 2022-12-02 18:20:36
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ডিসেম্বর ২: গত ৩০ নভেম্বর ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, চীনের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন রয়েছে ন্যাটো। চীনের জবরদস্তিমূলক নীতি এবং মিথ্যা তথ্য প্রচারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।

এ প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চাও লি চিয়ান আজ (শুক্রবার) নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন বক্তব্যে রয়েছে স্নায়ুযুদ্ধের ধারণা ও আদর্শগত পক্ষপাত। আশা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দু’দেশের শীর্ষনেতাদের মতৈক্য পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবে এবং বড় দুটো দেশ হিসেবে সহাবস্থানের উপায় খুঁজে পাবে।

চাও লি চিয়ান জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জবরদস্তিমূলক কূটনীতির সূচনাকারী এবং গুরু। বলপ্রয়োগের হুমকি থেকে রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে প্রযুক্তিগত অবরোধ পর্যন্ত—সবই যুক্তরাষ্ট্র অবলম্বন করেছে। মিথ্যা তথ্য প্রচারেরও অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

চাও লি চিয়ান আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রই শক্তির অপব্যবহার এবং বিশ্বজুড়ে পরিস্থিতি অশান্ত করছে। যুক্তরাষ্ট্রের মোট সামরিক ব্যয় বিশ্বের সর্বোচ্চ, যা পরবর্তী নয়টি দেশের মোট সামরিক ব্যয়ের সমতুল্য।

তিনি বলেন, দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের পর গত ২৬০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ১৬ বছর কোন যুদ্ধে জড়িত হয়নি। বিশ্বব্যাপী তার ৮০০টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মার্কিন জঙ্গি বিমান ও জাহাজ বার বার বিদেশে গিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে। কে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা লঙ্ঘন করছে - তা সবাই বুঝে।

চীনা মুখপাত্র বলেন, চীন সব সময় স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক নীতি মেনে চলে এবং কখনও জবরদস্তি করে না, করবেও না। মিথ্যা তথ্যও ছড়াবেন না। যুক্তরাষ্ট্র উচিৎ চীনের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো বন্ধ করা। চীন-মার্কিন সুষ্ঠু ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বাজয় রাখায় দু’পক্ষেরই প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn