‘অতীত সব বাতাসে উড়ে যায়’
ছি ছিন ১৯৬০ সালের ১২ জানুয়ারি চীনের তাইওয়ান প্রদেশের তাইচুং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন গায়ক, সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, এবং বিখ্যাত গায়িকা ছি ইউ-এর ছোট ভাই।
১৯৮১ সালে তিনি তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘তাঁর সঙ্গে আবার দেখা’ প্রকাশ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি তাঁর প্রথম সৃজনশীল অ্যালবাম ‘উলফের অ্যালবাম’ প্রকাশ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি ‘ফ্যাং ছাও পি লিয়ান থিয়ান’ শীর্ষক প্রেমের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অ্যালবাম ‘শীতকালের বৃষ্টি’ ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয় এবং ‘শীতকাল সম্ভবত’ গানটির জন্য তিনি ১১তম হংকং টপ টেন চীনা গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ড জেতেন। ১৯৮৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে, ‘ওল্ফ ১’ অ্যালবামটি নানহাই কোম্পানি থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ সালে তিনি এশিয়ান পপ কনসার্ট গানের পুরস্কার জিতে নেন। ১৯৯১ সালে তাকে প্রথমবারের মতো চীনের মূল ভূখণ্ডে ‘ছি ছিন চায়না ট্যুর কনসার্ট ইন দা মেইনল্যান্ড’ আয়োজনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৯৯২ সালে তিনি তাইওয়ানের সেরা রেকর্ড প্রযোজকের পুরস্কার জিতে নেন। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত ‘অতীত সব বাতাসে উড়ে যায়’ গানটি চ্যানেল ভি চীনা শীর্ষ ২০ তালিকায় বছরের সেরা গানের তকমা পায়। ১৯৯৭ সালে তিনি তাঁর অ্যালবাম ‘সিল্ক রোড’-এর জন্য অষ্টম তাইওয়ান গোল্ডেন মেলোডি অ্যাওয়ার্ডের সেরা ম্যান্ডারিন পুরুষ গায়কের পুরস্কার জিতে নেন। ১৯৯৮ সালে তিনি তিব্বতে একটি লাইভ কনসার্ট করেন।
ছি ছিন যখন জুনিয়র হাই স্কুলে ছিলেন, তখন তিনি নিজের অজান্তেই বন্ধু তৈরি করেছিলেন। ১৬ বছর বয়সে মদ্যপানসংশ্লিষ্ট সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাকে সংস্কারমূলক স্কুলে পাঠানো হয়। তিনি সেখানে তিন বছরেরও বেশি সময় কাটান। সেই সময়ে তার বড় বোন, ছি ইউ, যিনি ইউনিভার্সিটির নৃবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন, প্রতি সপ্তাহান্তে ছি ছিন’কে দেখতে যেতেন এবং তার জন্য একটি গিটার কিনে দেন। গিটারটি তিনি কিনেছিলেন হংকংয়ে গান গাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জিতে নেওয়া পুরস্কারের টাকা দিয়ে। এরপর, ছি ছিন গিটার বাজানোর চর্চা করতে থাকেন। দুই বা তিন মাসের মধ্যে তিনি গিটার শিখে ফেলেন। সংস্কারমূলক স্কুল থেকে বেরিয়ে আসার পর, তার বাবা তাকে বাড়িতে রীতিমতো বন্দি করে রাখেন। সেসময় খাওয়া ও ঘুম ছাড়া, তিনি দিনে সাত বা আট ঘন্টা গিটার অনুশীলন করতেন। একসময় তিনি রেস্তোরাঁয় গিয়ে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিমা রেস্তোরাঁয় গান গেয়েছেন। তাঁর তখনকার বেশিরভাগ গান ছিল লোকগান। তিনি ১৯৮১ সালে নৌবাহিনীতে যোগ দেন এবং তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি নৌবাহিনী থেকে অবসর নেন।