‘স্বপ্ন জাগার সময়’
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১৯৮৩ সালে ছেন শু হুয়া পাই তাই সংগীত কোম্পানিতে যোগ করেন। পরের তিন বছরে ছেন শু হুয়া রক, পপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বৈশিষ্ট্যময় গানসহ বিভিন্ন শৈলীর গান গেয়েছেন এবং তাতে সাফল্য পান। ১৯৮৫ সালে ছেন শু হুয়া তাইওয়ানের সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাওয়ার্ড----গোল্ডেন বেল অ্যাওয়ার্ডের বার্ষিক শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পান। বন্ধুরা, এখন সে সময়ে ছেন শু হুয়ার খুব জনপ্রিয় একটি গান ‘সমুদ্রের গান’ শুনবো।
১৯৮৮ সালে ছেন শু হুয়া আরও একটি বিখ্যাত সংগীত কোম্পানি রক রেকর্ডে যোগ দেন এবং চীনের বিখ্যাত প্রযোজক ও গায়ক লি চোং শেংয়ের শিক্ষার্থী হন। তখন থেকে ছেন শু হুয়ার সংগীত আরও পরিপক্ব হয়ে ওঠে এবং তার গান প্রফুল্ল শৈলী থেকে গভীর, কোমল শৈলীর দিকে মোড় নেয়। ১৯৮৯ সালে লি চোং শেং ছেন শু হুয়ার জন্য অ্যালবাম ‘তোমাকে বলি, তোমার কথা শুনি’ তৈরি করেন। অ্যালবামটি বিশাল সাফল্য পায় এবং তাইওয়ান সংগীত ইতিহাসে এটি ১০ লাখেরও বেশি বিক্রি হয়। মূলত এটিই হলো ছেন শু হুয়ার সংগীত জীবনের শিখরে আরোহণ। আর সেই অ্যালবামের অনেক গান এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে আছে।
বন্ধুরা, এখন অ্যালবামের একটি সুন্দর গান ‘স্বপ্ন জাগার সময়’ শুনবো।
অ্যালবাম ‘তোমাকে বলি, তোমার কথা শুনি’ ব্যাপক সাফল্য অর্জনের পর ছেন শু হুয়া বিভিন্ন চলচ্চিত্রের জন্য অনেক গান গেয়েছেন। তার গানে শুধু সুন্দর কণ্ঠ ও আবেগের পাশাপাশি গানগুলো চলচ্চিত্রের গল্প ও ছবির সঙ্গে মিলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। বন্ধুরা, এখন শুনুন চীনের জনপ্রিয় একটি চলচ্চিত্রের জন্য গাওয়া তার একটি গান ‘জিজ্ঞাসা’।
১৯৯৮ সালে ছেন শু হুয়া ব্যক্তিগত কারণে সংগীত মহল থেকে প্রস্থান করে সবার দৃষ্টির আড়ালে চলে যান। তার পারফরমেন্স দেখা না গেলেও তার গান এখনও অনেকেই পছন্দ করে এবং বার বার শোনেন। বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষে ছেন শু হুয়ার আরও একটি জনপ্রিয় গান ‘সিয়াও হোং ছেন’ শুনবো, আশা করি তার গান আপনাদের ভালো লাগছে।
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান তাহলে এখানেই শেষ করছি। আশা করি, আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচারিত গানগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। এখন বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আবারও কথা হবে।