"সুগন্ধি জীবন"
"নান ই তাও রাস্তা" একটি গান যা মাও পু ই তার দেশের বাড়ির "নান ই তাও স্ট্রিট" –এর কথা মাথায় রেখে লিখেছিলেন। মাও পু ই মনে করেন যে, হোমটাউন যতই পরিবর্তন হোক না কেন, বাড়ির সৌন্দর্য সবসময় শ্রোতাদের মনে থাকবে।
"যদি একদিন আমি ধনী হই" গানটি এমন এক পর্যায়ে লেখা হয়েছিল যখন মাও পু ই তুলনামূলকভাবে অর্থের অভাবে কষ্ট পাচ্ছিলেন। এখানে তিনি শুধু আর্থিকভাবে ধনী হবার কথা বলেননি, বলেছেন "আমি যে জীবন চাই সে রকম জীবনে থাকতে চাই" বা "আমি কিছু পরিবর্তন চাই "।
"দুঃখ" লেখা হয়েছিল মাও ই পুইয়ের অনলাইন মিউজিক প্রোগ্রাম "টুমরোস সন্স সিজন ১"-এর নবাগত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পরে। কারণ, তিনি তুলনামূলকভাবে অন্তর্মুখী এবং দ্রুত অন্য প্রতিযোগীদের সাথে একত্রিত হতে পারেন না। তিনি নিজেকে উত্সাহিত করার জন্য এবং শ্রোতাদের উত্সাহিত করার লক্ষ্যে এই গানটি করেছেন, এই আশায় যে, শ্রোতারা তাদের আদর্শের জন্য এগিয়ে যেতে পারে যখন তাদের ভাল সময় যাচ্ছে না। "দুঃখ" শীর্ষক গানে মাও পু ই "হোমটাউন", "দূরত্ব", "দয়া" এবং "বড় হওয়া"-র মতো বিষয়গুলো বর্ণনা করেছেন, যাতে শ্রোতারা যারা জীবনে সংগ্রাম করছেন কিন্তু কখনও কখনও শক্তিহীন বোধ করেন, তারা মানসিক শান্তি খুঁজে পান। "সুগন্ধি জীবন" যখন মাও পু ই’র একজন ইন্টার্ন নার্স ছিলেন তখন তার লেখা একটি গান।
" সাধারণ একদিন" অ্যালবামটি মাও পু ই’র সাধারণ জীবন পর্যবেক্ষণের প্রতিফলন। পুরো অ্যালবামে তার জীবনের চিন্তাভাবনা এবং শিশুসুলভ অনুভূতি ফুটে উঠেছে, যা সাধারণ গায়কদের থেকে আলাদা। মাও পু ই সঙ্গীতের মাধ্যমে তাঁর জীবনের উপলব্ধি বর্ণনা করেছেন। এটি কেবল সঙ্গীতের প্রতি মাও পু ই’র ভালবাসাই নয়, এটি তার সংগীতের সাথে লেগে থাকার কারণও। তিনি তার হৃদয়কে ধরে রাখেন, গুরুত্ব সহকারে বেঁচে থাকেন, এবং যত্ন সহকারে লেখেন ও গেয়ে যান। তার গান কখনো শ্রোতাদের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না।