বাংলা

চিন ওয়েনছি

CMGPublished: 2024-06-19 10:06:23
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চিন ওয়েনছি, চীনের মূল-ভূখণ্ডের একজন নারী কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত প্রযোজক। তিনি হেইলংচিয়াং প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন এবং সিআন কনজারভেটরি অফ মিউজিক থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদেরকে তাঁর একটি খুবই জনপ্রিয় গান শোনাব, কেমন? গানের শিরোনাম ‘রংধনুর প্রতিধ্বনি’।¬ গানটি ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় এবং গানের লিরিক্স ও সংগীত তাঁর সৃষ্টি।

ছোটবেলা থেকে চিন ওয়েনছি পিয়ানো ও অ্যাকর্ডিয়ন (accordion) শেখা শুরু করেন। স্কুলের দিনগুলিতে তিনি সংগীত ম্যাগাজিনের বিশেষ অতিথি লেখক ছিলেন। তিনি অনেক সংগীত কলাম লিখেছেন। স্নাতক হবার পর তিনি পপ সংগীত সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। এক সুযোগে তাঁর পাঠানো ডেমো প্রযোজক বাছাই করা হয়, তখন থেকে তিনি সংগীত প্রযোজকের পথচলা শুরু করেন। কিন্তু শুরুর দিকে তিনি পর্দার পিছনে অন্য শিল্পীর জন্য কাজ করতেন। ২০১৪ সালে চলচ্চিত্র ‘বেইজিং প্রেমের গল্পের’ জন্য সৃষ্ট গান ‘রংধনুর প্রতিধ্বনি’ বিভিন্ন সংগীত ওয়েবসাইটে ১ কোটি পরীক্ষামূলক শোনার তথ্য সৃষ্টি করেছে। তখন থেকে তিনি পর্দার সামনে চলে আসেন। ২০১৫ সালে তিনি প্রথম একক অ্যালবাম ‘উপযুক্ত বিশ্ব’ প্রকাশ করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দার পিছন দিক থেকে মঞ্চে আসার ঘোষণা করেন। বিগত দশ বছরের সৃষ্ট ডেমো শিল্প-কর্মগুলির মধ্যে তিনি দশটি গান বাছাই করেন। গানগুলির সবই লিরিক্স ও সংগীত তাঁর নিজের সৃষ্টি। তাহলে বন্ধুরা, এখন আমি চিন ওয়েনছি’র প্রথম অ্যালবাম ‘উপযুক্ত বিশ্ব’ থেকে ‘নগণ্য ব্যক্তি’ ও ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ’ দু’টো গান বেছে আপনাদের শোনাব, কেমন?

২০১৫ সালের ২১ জুলাই চিন ওয়েনছি তাঁর নিজের সৃষ্ট একক গান ‘বধূ আ হুয়া’ প্রকাশ করেন। এমন একটি গল্প হয়তো আপনার নিজের অভিজ্ঞতা নেই, কিন্তু আশপাশে বন্ধুদের কাছেও দেখেছেন। একজন বিয়ে করার মতো বয়সী মেয়ে, কারও পরিচয়ে বিয়ে করার মতো বয়সী ছেলের সাথে বিয়ের সাক্ষাৎকার করতে যায়। এটাই গল্পের সূচনা। চিন ওয়েনছি ‘বিবাহ সাক্ষাৎকার’ প্রতিপাদ্য হিসেবে ‘বধূ আ হুয়া’ সৃষ্টি করেন। তিনি অন্য দিক থেকে জীবনের সৌন্দর্য আবিষ্কার করার প্রত্যাশা করেন।

২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর চিন ওয়েনছি নেটইজ ক্লাউড মিউজিকে (NetEase cloud music) স্বাধীনভাবে ‘বিশ্ব কাঁপানো’ গানটি প্রকাশ করেন। গানটির উত্স হয়তো সাধারণ, কিন্তু সহজ নয়। নয় বছরের প্রেম প্রতিরক্ষাহীনতায় শেষ হলো। এটা কারও জন্য অসহ্য ব্যথা। একটি অশ্রুসিক্ত গভীর রাতে গানটির সৃষ্টি হয়েছে। গানটি চিন ওয়েনছি নিজেকে প্রতিকার করে জীবন পুনরায় শুরু করার প্রতীক। গানটিতে তিনি প্রথমবারের মতো নিজের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা লিখেন ও গান। একজন পরিপক্ব নারী হোক, অথবা আরো পরিপক্ব সঙ্গীতজ্ঞ হোক, বিশ্বাস করা যায়, চিন ওয়েনছি আরো অত্যাশ্চর্য শিল্প-কর্ম দেখাবেন।

আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের শেষ গান হিসেবে আমি আপনাদেরকে চিন ওয়েনছি’র ‘শিশু’ শীর্ষক গানটি শোনাব।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn