'হাসিমুখ'
আজকের অনুষ্ঠানে চীনের তাইওয়ানের একজন বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গায়িকার সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবো, তার নাম ছি ইয়ু। তিনি তার কোমল ও আকর্ষণীয় কণ্ঠের জন্য পরিচিত। আত্মপ্রকাশের ৪০ বছরে তিনি অনেক জনপ্রিয় গান প্রকাশ করেছেন। চীনা সংগীত মহলের অনন্য ও খুব প্রভাবশালী একজন গায়িকা তিনি। বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একসঙ্গে তার কিছু সুন্দর গান শুনবো। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুনুন ছি ইয়ু’র একটি সুন্দর গান ‘বিদায়’।গান ১
ছি ইয়ু ১৯৫৭ সালে চীনের তাইওয়ানের তাইচোং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি তাইওয়ানের ‘গোল্ডেন সুর’ সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং চ্যাম্পিয়ন হন। পরে তিনি এক সংগীত কোম্পানিতে যোগ দেন, শুরু হয় তার গায়িকা জীবন। পরের বছর ছি ইয়ু তার প্রথম অ্যালবাম ‘জলপাই গাছ’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামের প্রধান গান ‘জলপাই গাছ’ চীনের বিখ্যাত নারী লেখক সান মাও’র একটি কবিতা অনুসারে রচিত হয়। গানের কথায় জন্মস্থানকে মিস করা ও সুন্দর ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়। এই গান মুক্তির পরই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং অনেক পুরস্কার পায়। যা পরে ছি ইয়ুর প্রতিনিধিত্বকারী একটি গান হয়। অনেক গায়ক বারবার গানটি গেয়েছে। বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ইয়ুর জনপ্রিয় গান ‘জলপাই গাছ’।গান ২
এখন আমরা শুনবো ‘হাসিমুখ’, যা ১৯৭৯ সালে ছি ইয়ু চলচ্চিত্র ‘হাসিমুখের’ জন্য গাওয়া একটি গান। গানে পপ সংগীতে ক্লাসিক সংগীতের উপাদান মিশ্রিত করা হয়, আর ছি ইয়ু’র কোমল ও আকর্ষণীয় কণ্ঠে এই গান মানুষদেরকে নতুন শোনার অভিজ্ঞতা দেয়। গানটি তাইওয়ান ‘ফিল্ম গোল্ডেন হর্স অ্যাওয়ার্ডের’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের গানের পুরস্কার পায়। ‘জলপাই গাছ’ ও ‘হাসিমুখ’ এ দুটি গান জনপ্রিয় হওয়ার কারণ ছি ইয়ু দ্রুত তাইওয়ানে সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। বন্ধুরা, এখন শুনুন ছি ইয়ু’র জনপ্রিয় গান ‘হাসিমুখ’।গান ৩