বাংলা

লেই চিয়া

CMGPublished: 2023-01-22 13:28:27
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

লেই চিয়া ১৯৭৯ সালের ১৯ অক্টোবর চীনের হুনান প্রদেশের ই ইয়াং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। চীনের মূল-ভূভাগের একজন কণ্ঠশিল্পী তিনি। তিনি সেন্ট্রাল কনজারভেটরি অফ মিউজিক এবং পিএলএ জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক সংস্কৃতি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

ছোটবেলা থেকে লোকসঙ্গীতের প্রতি তাঁর মনে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। যখন তাঁর বয়স ১৪ বছর, তখন ফুলের ড্রাম অপেরা শিখতে শুরু করেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তিনি পেশাদার সঙ্গীত শিখতে শুরু করেন। ২০০০ সালের মে মাসে তিনি নবম জাতীয় তরুণ গায়ক টিভি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে হুনান প্রতিযোগিতামূলক অঞ্চলের স্বর্ণপদক জিতে নেন। ২০০৪ সালের ২২ জুলাই তিনি ১১তম সিসিটিভি তরুণ গায়ক টিভি প্রতিযোগিতায় “রিডফুল”গানটি দিয়ে লোকগান ইভেন্টের স্বর্ণপদক জিতেন। গানটি পরে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

২০১১ সালের ১২ জুন তাইওয়ান প্রণালীর দু’তীরের তরুণ বিনিময় সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে তিনি“পুনরুজ্জীবনের গান”সহ বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। তারপর সঙ্গীতানুষ্ঠানের থিমসং“পুনরুজ্জীবনের গান”প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়।

২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রথমবারের মতো সিসিটিভির বসন্ত উত্সব গালায় একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। গানটির নাম “হোমসিকনেস”।

২০০৬ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি আবারো সিসিটিভির বসন্ত উত্সব গালায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। একই বছরের ২৮ এপ্রিল তিনি জার্মানীতে অ্যালবাম“ড্যান্ডেলিয়ন ফুলের আকাশ”-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। অ্যালবামে ১২টি বিভিন্ন জাতির লোকগান অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনি বিদেশে অ্যালবাম তৈরি করার পাশাপাশি প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করা চীনা লোকসঙ্গীতের প্রথম শিল্পী। অ্যালবামটি বার্ষিক আকর্ষণীয় অ্যালবাম নির্বাচিত হবার সঙ্গে সঙ্গে গ্র্যামি পুরস্কারের বিচারক জোশুয়ার চিক একে “সবচেয়ে সুন্দর চীনা কণ্ঠস্বর”হিসাবে আখ্যায়িত করেন।

২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি টিভিনাটক“আজীবন যাত্রা”-র জন্য গাওয়া লেইচিয়ার শিরোনাম-গান প্রকাশিত হয়। টিভি নাটকটি চীনে খুব জনপ্রিয় ছিল। সেজন্য শিরোনাম-গানটিও দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।

আসলে লেইচিয়া অনেক লোকগান গেয়েছেন। তাঁর অনেক গান চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। “কালি পেইন্টিং চীন” ও “সুগন্ধী চায়ের চীন” এগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাহলে আজকের অনুষ্ঠানের শেষদিকে আমি আপনাদেরকে তাঁর পরপর আরও দুটি গানটি শোনাচ্ছি।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn