বাংলা

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন সংক্রান্ত মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্কের প্রতিবেদন কি নিজ সরকারের মুখে চপেটাঘাত?

CMG2024-09-24 14:14:30

সেপ্টেম্বর ২৪: চীনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সবসময়ই মার্কিন সরকারের চক্ষুশূল।

চীনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মুখে কালিমা লেপন করার জন্য, আমেরিকানরা প্রায়শই মেধাস্বত্ব ‘চুরি’—শব্দবন্ধটি ব্যবহার করে থাকে। আসলে প্রকৃত অবস্থা কী?

আসলে, এ বিষয়ে চীনাদের কৈফিয়ত দেওয়ারই প্রয়োজন নেই, কারণ আমেরিকানদের নিজস্ব গবেষণা প্রতিবেদনই নিজ সরকারের মুখে চপেটাঘাত করেছে। যদিও এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রেরণা তেমন বিশুদ্ধ নয়।

পারমাণবিক শক্তি, সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং উপকরণ বিজ্ঞানসহ মূল প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৪৪টি চীনা কোম্পানির উদ্ভাবন কর্মক্ষমতার ওপর ২০ মাসের জরিপের পর, ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক আমেরিকান ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ফাউন্ডেশন (আটিআইএফ) স্থানীয় সময় ১৮ সেপ্টেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের একটি অনুষ্ঠানে এর সর্বশেষ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে।

আটিআইএফের গ্লোবাল ইনোভেশন পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট স্টিফেন ইজেল গবেষণার সারসংক্ষেপ করে বলেন যে, সামগ্রিকভাবে বলা যায়, আমরা দেখেছি যে, চীনের উদ্ভাবন ব্যবস্থা নিখুঁত না হলেও, এটি আগে সবার ধারনার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।

তিনি যোগ করেছেন যে, এখনও পর্যন্ত প্রমাণগুলো দেখায় যে, চীন সার্বিকভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে দেশটি এরই মধ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে চীনা কোম্পানিগুলো প্রায় ১০ বছরের মধ্যে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোকে ধরে ফেলবে বা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

Close
Messenger Pinterest LinkedIn