চিং লং
চিং লং ১৯৯৭ সালের ৭ জুলাই চীনের লিয়াও নিং প্রদেশের রাজধানী শেন ইয়াং শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হচ্ছেন চীনের মূল-ভূখণ্ডের পপসংগীত মহলের একজন শিল্পী। তিনি শেন ইয়াং কনসারভেটরি অব মিউজিকের স্নাতক।
যখন তার বয়স ১২ বছর, পেশাদার কণ্ঠ সংগীতের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য চিং লংয়ের বাবামা তাকে শেন ইয়াংয়ের ইউয়েফু আর্ট স্কুলে পাঠান। সংগীত শেখার প্রক্রিয়ায় তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন, প্রতিদিন বহু সময় ধরে সংগীত গবেষণা ও অনুশীলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের লেখাপড়া তার শিল্পী-জীবনের জন্য সুষ্ঠু ভিত্তি স্থাপন করেছে।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে চিং লং তার প্রথম একক গান ‘একাকীত্বকে রাতের খাবার হিসাবে বিবেচনা করে’ প্রকাশ করেন। গানটি শোনার পরিমাণ আশ্চর্যজনক ছিল। তারপর তিনি ধারাবাহিকভাবে সংগীত সৃষ্টি ও প্রকাশ করতে থাকেন। ২০২০ সালে তিনি ‘তোমাকে হারিয়েছি’ নামে একক গান প্রকাশ করেন। গানটির ১ বিলিয়নের বেশি প্রচার পায় এবং নেটইজ ক্লাউড মিউজিকের বছরের দশটি শীর্ষ জনপ্রিয় নতুন গানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
‘আমি চলে যাওয়ার পর’ হলো ২০১৯ সালের ১৫ আগস্টে চিং লংয়ের প্রকাশিত একটি একক গান। গানটিতে মেয়ের বাবা-মায়ের প্রবল বিরোধিতার কারণে একটি দম্পতির আলাদা হতে বাধ্য হওয়ার গল্প বলা হয়। গানটিতে বিছিন্ন করার পর নিঃসঙ্গ ও অসহায় অবস্থা এবং অতীতের সুন্দর সময়ের স্মৃতিচারণ প্রকাশিত হয়। একই সময় বাস্তব জীবনের টানাপোড়েন এবং ভবিষ্যতের প্রতি অনিশ্চয়তা প্রকাশিত হয়।
২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চিং লংয়ের গান ‘নজরে পড়া’ আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে প্রকাশিত হয়। গানটিতে জীবন এবং মানব প্রকৃতির গভীর উপলব্ধি প্রকাশিত হয়। গানের কথাগুলোর মাধ্যমে গায়কের অতীতকে স্মরণ, ভবিষ্যতের প্রতি প্রত্যাশা এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী অনুভব করা যায়। এটি আসলে জীবন ও মানুষের প্রতি গভীর অনুরাগে ভরপুর একটি গান।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট চিং লং ‘কেন তুমি’ নামে গানটি প্রকাশ করেন। গানটিতে বিশেষ হৃদয়ানুভূতির প্রতি জটিল অনুভব প্রকাশিত হয়। পুরো গানের হৃদয়ানুভূতি গভীর। অতীতের হারানো সুন্দর সময়ের জন্য দুঃখের পাশাপাশি বাস্তব বিছিন্নতার এড়ানোর অক্ষমতা ও দুঃখও আছে। ‘আমরা ধীরে ধীরে বিছিন্নতার সীমান্তে চলে এলাম’—এমন কথার মাধ্যমে গভীর হৃদয়ানুভূতি এবং অপূরণীয় আক্ষেপ প্রকাশিত হয়।
বন্ধুরা, গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে চিং লংয়ের ‘হাসো’ গানের মাধ্যমে আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানটি শেষ করছি।