ফাং তাথোং
ফাং তাথোং বা খালিল ফং ১৯৮৩ সালের ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনা ভাষা পপসংগীত মহলের একজন গায়ক, অভিনেতা, সংগীত নির্মাতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।
মাত্র ৩ বছর, ফাং তাথোং সংগীত শিখতে শুরু করেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি নিজের চেষ্টায় গিটার-বাদন শেখার পাশাপাশি লিরিক্স রচনা ও সংগীত সৃষ্টি শুরু করেন। ২০০০ সালে ১৭ বছরের ফাং তাথোং ওয়ার্নার মিউজিক গ্রুপে যোগ দিয়ে অন্যদের জন্য গান সৃষ্টি শুরু করেন। সংগীতে আরো বেশি দক্ষতা অর্জন করার জন্য ১৮ বছরের ফাং নিজে নিজে পিয়ানো শিখতে শুরু করেন। ৩ বছর ধরে সুরকার হিসেবে নেপথ্যে থাকার পর তিনি সংগীতদল এফ আই আর-এর সংগীতানুষ্ঠানের জন্য উদ্বোধনী অতিথী হিসেবে পরিবেশনা করে, ‘বসন্তের হাওয়া বইছে’ ও ‘নান-ইন’ গান দুটি গান। একই বছরের নভেম্বর তিনি প্রথম একক অ্যালবাম ‘সোলবয়’ প্রকাশ করেন। ‘বসন্তের হাওয়া বইছে’ গানটি এতে রাখা হয়।
‘প্রেম প্রেম প্রেম’ হলো ফাং তাথোংয়ের ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি অ্যালবাম। এতে মোট ১৩টি গান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি নিজেই অ্যালবামের প্রযোজক। সোল এবং আর অ্যান্ড বি হলো অ্যালবামের প্রধান শৈলী। তিনি সব গান রচনা, ব্যবস্থাপনা, প্রযোজনা এবং সুসমন্বিত করেছেন। পুরো অ্যালবামটি বিশুদ্ধ ব্লুজ রুট অনুসরণ করে, নিজের ব্যক্তিগত জীবন এবং ভালোবাসাকে প্রথমে রাখে। মাঝারি ও ধীর সংগীত শৈলীর সংমিশ্রণ সৃষ্টি এ গান বারবার শুনতেও শ্রোতারা ক্নান্তি বোধ করেন না।
২০০৭ সালে ফাং তাথোং ‘ওয়ান্ডারল্যান্ড’ নামে নতুন অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এতে মোট ১১টি গান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অ্যালবামটির গান লেখা, ব্যবস্থাপনা, কর্মসম্পাদন এবং রেকর্ডিং ও উত্পাদনে তাঁর হাত ছিল। অ্যালবামটির লক্ষ্য হলো ‘প্রেম ও পরিবেশ সংরক্ষণ’— এ দু’টো সংগীত ধারণা প্রকাশ করা। যদিও দু’টো বিষয়ে দৃশ্যত কোন সম্পর্ক নেই, তবুও এতে অনেক মিল রয়েছে। যেমন, লালন, সম্মান ও যত্ন নেওয়া হলো প্রেম ও পরিবেশ সংরক্ষণের অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। পাশাপাশি অ্যালবাম সৃষ্টির সময় ফাং তাথোংয়ের প্রেরণা উত্স এবং মেনে চলা প্রতিপাদ্য।
২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর ফাং তাথোং ‘কমলা চাঁদ’ নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এতে রাখা হয়েছে ‘তিনজনের ভ্রমণ’ নামে একটি গান। গানের গল্পে বলা হয়, এক ছেলে এক মেয়েকে পছন্দ করে। কিন্তু মেয়ের ছেলে বন্ধু আছে। তাই প্রথম ছেলে দু’জনের কাছাকাছি থেকেছে এবং সাত বছর অপেক্ষা করেছে। চূড়ান্তে ছেলেটি তার প্রিয় মেয়েটিকে বিয়ে করতে পেরেছে। ‘তিনজনের ভ্রমণ’ গানটি ফাং তাথোং দু’জনের স্মৃতিচারণের জন্য রচিত একটি গান। ২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি, গানটি ৩২তম টপ টেন চাইনিজ গোল্ড সং অ্যাওয়ার্ডে চমৎকার ম্যান্ডারিন পপ গানের পুরস্কার জেতে।
২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল ফাং তাথোং চীনের মূল-ভূখণ্ডে ও তাইওয়ান অঞ্চলে ‘বিপদ বিশ্ব’ নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। তিনি ছিলেন অ্যালবামের প্রযোজক, সুরকার, গায়ক, সংগীতজ্ঞ ও সৃজনশীল পরিচালক। অ্যালবামের প্রতিপাদ্য হলো সবাই এক সাথে আমাদের বিশ্বকে রক্ষা করা এবং যা আছে তা মূল্যায়ন করা। অ্যালবামে প্রচুর হিপ-হপসহ নানা উপাদান সংযুক্ত করা হয়। ফাং তাথোং নিজের সংগীত ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার পর প্রথম অ্যালবাম হিসেবে তিনি অনেক পরিশ্রম করেন।
বন্ধুরা, ফাং তাথোংয়ের এমন একটি গান আছে, গানের নাম ‘উখং’। যখন তার বয়স ১৯ বছর, তিনি গানটির সৃষ্টি সম্পন্ন করেছেন। তারপর ১১ বছর পর, তার অ্যালবাম ‘পশ্চিমে যাত্রা’র প্রথম একক গান হিসেবে প্রকাশিত হয়। তিনি মনে করেন, ছোটবেলার স্মৃতি হোক বা ভবিষ্যতের প্রতি কল্পনা হোক, প্রত্যেক ছেলের হৃদয়ে একটি উখং আছে।
বন্ধুরা, গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে ফাং তাথোংয়ের আরেকটি গান দিয়ে আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানটি শেষ করছি। গানটি একটি ইংরেজি গান, নাম ‘গিওর্গিয়া অন মাই মাইন্ড’। এটি একটি কভার সংস্করণ গান।