চীনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন প্রদেশে কাওখাও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য নিবন্ধনকাজও শুরু হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একটি বিভাগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। আর, সেটি হল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের কয়েকটি প্রদেশে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্নাতক হবার পর দ্রুত চাকরি পেয়েছেন।
শানতুং প্রদেশ, শানসি প্রদেশ ও শাআনসি প্রদেশে নতুন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অনার্স শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন পরিকল্পনা ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। চলতি বছর শানতুং প্রদেশে মোট ৬০ জন শিক্ষার্থী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হবেন এবং তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষর করবেন। পড়াশোনার ব্যয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলের ভাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। পাস করার পর তাঁরা সরাসরি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পাবেন। সেখানে তাদের কর্মসময় ৫ বছরের চেয়ে কম হবে না।
আসলে, একসময় প্রত্নতত্ত্ব অনেকের কাছে অপরিচিত ও অজনপ্রিয় বিষয় ছিল। তবে, চীনের বিভিন্ন প্রদেশের জাদুঘরে বা দর্শনীয় স্থানে প্রচুর সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার থাকায়, প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণকাজের সম্ভাবনা এন্তার। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রথমে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অনার্স কোর্স চালু করে। সেখান থেকে অনেক শ্রেষ্ঠ, দক্ষ ও সুবিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ বের হয়েছেন।
বর্তমানে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পর্যায়ের প্রত্নতত্ত্ব কোর্সের অধীনে প্রধানত কালানুক্রমিকভাবে মৌলিক জ্ঞান শিখতে হয়। যেমন, প্যালিওলিথিক থেকে সং, ইউয়ান, মিং ও ছিং রাজবংশ আমল এতে অন্তর্ভুক্ত। তা ছাড়া, পশুপ্রাণী ও উদ্ভিদ প্রত্নতত্ত্ব ও পরিবেশ প্রত্নতত্ত্বও রয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব ক্লাসে ফিল্ড জরিপ অতি গুরুত্বপূর্ণ। চিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শানসি প্রদেশের ইয়ুনছেং শহরের সিয়া জেলায় একটি বিশেষ ফিল্ড জরিপ ঘাঁটি নির্মিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ ঘাঁটিতে কমপক্ষে গ্রীষ্মকাল, শরত্কাল ও শীতকাল কাটাতে হয় এবং সেখানে তাঁরা অন্বেষণ, জরিপ, অনুসন্ধান, পরিমাপ, ডিজিটাল মডেল স্থাপন, শিল্পকর্ম পুনরুদ্ধার ও অনুসন্ধান প্রতিবেদন রচনাসহ প্রত্নতত্ত্বসংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে, বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাকাজে অগ্রগতি হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তা পাচ্ছে এ খাতটি। মাটির গভীর থেকে আবিষ্কৃত সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের সঠিক বয়স এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্যে আরও স্পষ্টভাবে জানা যায়। বিভিন্ন প্রাচীন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করার পর সঠিক সংরক্ষণ ও মেরামত করাও জরুরি। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, একটি মাটিসমৃদ্ধ ময়লা শিল্পকর্ম যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিষ্কার করার পর, তার উপর খোদাই করা প্রাচীন অক্ষর ফুটে ওঠে।
তবে, যাদের চোখ রঙ চিনতে ভুল করে, এমন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্নতত্ত্ব উপযুক্ত বিষয় নয়। কারণ, ফিল্ড জরিপ করার সময়, মাটির নিচে ভিন্ন পর্যায় ও সময়ের মাটির রঙ দেখতে প্রায় একইরকম মনে হয়। সেই সামান্য পার্থক্য ধরতে পারাটা গবেষকের জন্য একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য।
আপনাদের দৃষ্টিতে প্রত্নতত্ত্ব কেমন বিষয়? এর মাধ্যমে ইতিহাস আরও স্পষ্টভাবে জানা যায় কি? কেউ কেউ বলেন, প্রত্নতত্ত্ব মানবজাতির ইতিহাসের ধ্বংসাবশেষের পোর্টার। প্রত্নতত্ত্বের সাথে জড়িত ‘সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও জাদুঘরবিদ্যা’, ‘সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ প্রযুক্তি’ ‘প্রাচীন অক্ষর গবেষণা’সহ আরও অনেক বিষয় রয়েছে।
এ পর্যন্ত চীনের উত্তর-পশ্চিম বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করেছে। লানচৌ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও জাদুঘরবিদ্যা বিভাগ চালু হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্বের সাথে জড়িত বিষয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগও কম নয়। এ সম্পর্কে চীনের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমির প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাগারের উপপরিচালক পেং সিয়াও চুন বলেন, যাদের প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে আগ্রহ আছে, তাদের জন্য এ বিষয় বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ, এ কাজে ভালো করতে চাইলে আজীবন করতে হবে। অধ্যাপক পেং চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পের গবেষকদের অন্যতম। তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন অনেক অনেক ধাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এ মেজরের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের ক্ষুদ্র প্রমাণ থেকে বিস্তারিত তথ্য খুঁজতে পারেন। যেমন, সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ কেন এ জায়গায় আছে বা প্রাচীনকালের প্রবীণরা কেন এখানে এ জিনিস রেখেছেন? এমন বিষয় গবেষণা যেন অতীতে ফিরে যাওয়ার মতো। প্রাচীনকালের লোকদের সাথে এ সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে এক ধরনের সংযোগ সৃষ্টি হয়। এটি গবেষকদের কৌতুহল পূরণ করতে পারে।
তা ছাড়া, প্রত্নতত্ত্ববিদ হতে চাইলে ব্যাপক ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। শুরুর দিকে যে-কোনো সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া বেশ আনন্দদায়ক ব্যাপার। এর পর দেখা গেল পর পর কয়েক বছর কিছুই পাওয়া গেল না। সেই সময় হাল ছেড়ে দেওয়া চলবে না। মন খারাপ হলে তা হজম করতে হবে। প্রত্নতত্ত্ব গবেষণার মাধ্যমে ইতিহাসও সংশোধন করা যায়। আমাদের ইতিহাসের বইয়ে বলা হয়েছে, চীনা সভ্যতার ৫০০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাস রয়েছে। তবে, পাশ্চাত্য বিশেষজ্ঞরা তা মানতেন না। একসময় চীনের চেচিয়াং প্রদেশের লিয়াংচু প্রাচীন জলসেচ প্রকল্পের ধ্বংসাবশেষ ২০১৯ সালে আবিষ্কৃত হয়। তখন থেকে আন্তর্জাতিক সমাজ চীনা সভ্যতার সুদীর্ঘকালীন ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হন।
চীনের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমির গবেষণাগারের কর্মী পাই ছিয়ান এখন কানসু প্রদেশের তিংসি শহরের লিনথাও জেলায় সিওয়া ধ্বংসাবশেষে ফিল্ড জরিপের কাজ করছেন। নিজের কর্ম-অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পাই বলেন, “এক বছর আগে ডক্টরেট শিক্ষার্থী হিসেবে স্নাতক হয়েছি। তারপর সিওয়া ধ্বংসাবশেষে ৫ মিটার আয়তনের একটি বর্গক্ষেত্রে অনুসন্ধানকাজ শুরু করি। গত বছরের নভেম্বর মাসে এখানে গুরুত্বপূর্ণ মৃত্পাত্রের ভাটা খুঁজে পাওয়া যায়। বসন্তকাল থেকে এর আশেপাশের জিনিস খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।”
সাধারণত, ফিল্ড জরিপের সময় প্রতি বছরের মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন ৮ ঘন্টার মতো অনুসন্ধানকাজ করতে হয়। বৃষ্টি হলে প্রত্নতত্ত্বকর্মীরা রুমে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করেন এবং লিখিত তথ্য সংগ্রহের কাজ করেন।
আরেকজন যুবকর্মীর নাম লিউ ইয়ং। তিনিও চীনের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমিতে কাজ করেন। তার প্রধান কাজ পরীক্ষাগারে সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ থেকে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে গবেষণা করা এবং তা ভালো করে সংরক্ষণ করা। চীনা প্রত্নতত্ত্ব কর্মীদের প্রচেষ্টায় এখন মানবজাতির উত্স, কৃষির উত্স ও সভ্যতার উত্স গবেষণায় অনেক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। যেমন, চেচিয়াং লিয়াংচু প্রাচীন নগরের ধ্বংসাবশেষের আবিষ্কার, চীনা সভ্যতার ৫০০০ বছরেরও বেশি ইতিহাসের প্রমাণ দিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের প্রত্নতত্ত্বকর্মীরা নিজ নিজ প্রচেষ্টায় চীনা সভ্যতার বিভিন্ন মূহুর্তের প্রাণবন্ত দৃশ্য তুলে ধরে চলেছেন।
চীনে রাতের স্কুলে নৃত্যসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
গত কয়েক বছরে চীনের বিভিন্ন এলাকায় নাইট স্কুল চীনা যুবক-যুবতীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যারা স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে চাকরি করনছেন, এমন যুবক-যুবতীদের মধ্যে নাইট স্কুলে নৃত্য বা চারুকলাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেওয়া বেশ আকর্ষণীয় ব্যাপার। তা ছাড়া, তরুণ পিতামাতারাও ধীরে ধীরে নাইট স্কুলের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। অনেক বাবা-মা বলেন, অতীতে শুধু বাচ্চাদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্লাসে যেতেন। তবে, বর্তমানে নিজের প্রিয় বিষয়ের ওপর নিজেই প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ বেশি।
৪০ বছর বয়সের মা লিয়াও ইয়ান মেই নাননিং শহরের বাসিন্দা। তিনি নৃত্য বেশ পছন্দ করেন। তাই, রাতে নৃত্যের ক্লাস করেন তিনি। ক্লাসের সময় তার বাচ্চা ক্লাসরুমের বাইরে অপেক্ষা করে। এ সম্পর্কে নাননিং শহরের যুব কার্যকলাপ কেন্দ্রের পরিচালক ও নাইট স্কুলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হুয়াং চিয়া ইয়ু বলেন, অতীতে বাবা-মা বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেতেন। আর এখন, তরুণ পিতামাতা ক্লাস করেন ও বাচ্চারা তাদের জন্য বাইরে অপেক্ষা করে। এটি একটি নতুন পরিবর্তন।
ম্যাডাম লিয়াও’র ছেলে ও মেয়ে এখন হিপহপ ও চীনা ঐতিহ্যিক নৃত্য শিখছে। বাচ্চারা নৃত্যচর্চা অনেক কঠিন বলে অভিযোগ করে। একসময় মা লিয়াও ইয়ান মেই বড়দের নৃত্য ক্লাসে ভর্তি হন। তিনি বাচ্চাদের মতো নৃত্যের কষ্ট অনুভব করতে চান এবং এর মাধ্যমে বাচ্চাদের সহায়তা ও উত্সাহ দিতে চান। তিনি নৃত্য শেখার মাধ্যমে নতুন মজা পেয়েছেন।
১৪ বছর বয়সের মেয়ে মো চৌ লিন একা বসে জল রং ইলাস্ট্রেশন ক্লাসের বাইরে তার মায়ের জন্য অপেক্ষা করে। তার মায়ের বয়স ৪২ বছর। মেয়ে জন্ম দেওয়ার পর মা কোনো চাকরি করেননি। এখন চারুকলা ক্লাসে অংশ নেওয়ার পর মেয়ের সাথে কথাবার্তার সময়ও বেড়েছে। প্রতিদিন ছবি আঁকার হোমওয়ার্ক করতে গিয়ে তার জীবনকে অনেক অর্থপূর্ণ ও পরিপূর্ণ মনে হয়।
৪৩ বছর বয়সের মা লিউ সু না নাইট স্কুলের নৃত্য ক্লাসের শিক্ষার্থী। প্রতি সপ্তাহে এ নৃত্য ক্লাস তাঁর জন্য মজার ব্যাপার; একঘেয়ে ও বিরক্তিকর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন। এটি তাঁর জন্য বেশ আনন্দের বিষয়।
সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন প্রদেশের স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়েছে। সংবাদদাতারা কুয়াংসি, কুয়াংতুং এবং হুপেইসহ বিভিন্ন এলাকার নাইট স্কুল পরিদর্শন করেন। তাঁরা খেয়াল করেন যে, তরুণ পিতামাতারা ক্রমবর্ধমান হারে নাইট স্কুলে ভর্তি হচ্ছেন। এতে বাচ্চারা খানিকটা স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগও পাচ্ছে। তবে, রাতের সময় যখন বাবা-মা ক্লাসে থাকেন, তখন বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।
এ সমস্যা সমাধানে, অনেক নাইট স্কুলে বাচ্চাদের জন্য বিশ্রাম রুম বা অধ্যয়ন রুম গড়ে তোলা হয়েছে। বাচ্চারা এখানে বাবা-মায়ের জন্য অপেক্ষার সময় বই পড়তে পারে এবং হোমওয়ার্কও করতে পারে।
নাননিং শহরের যুব কার্যকলাপ কেন্দ্রে কম বয়সের বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ক্লাস চালু করা হয়েছে। হস্তকর্মশিল্প, ক্যালিগ্রাফি ও চারুকলাসহ বিভিন্ন ক্লাস বাচ্চাদের জন্যও খোলা থাকে। এভাবে বাবা-মার সাথে প্রশিক্ষণ ক্লাসে যোগ দিতে পারে তারা। এ সম্পর্কে পরিচালক হুয়াং বলেন, মোবাইল ফোনে গেমস খেলার চাইতে, বাবা-মা ও বাচ্চাদের একসঙ্গে ক্লাস করা উত্তম।