চানকাই বন্দর: নতুন যুগে ইনকা ট্রেইলের নতুন সূচনা
ভেম্বর ১৬: পেরু সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোরুয়ার্ট যৌথভাবে লিমায় সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভবনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে চানকাই বন্দরের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন।
এটি প্রেসিডেন্ট সি’র তৃতীয় পেরু সফর এবং এক বছরের মধ্যে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্টের সঙ্গে বৈঠক।
৫০০ বছরেরও আগে পেরুর পূর্বপুরুষ ইনকারা আন্দিজের উত্তর ও দক্ষিণের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইনকা ট্রেইল তৈরি করেছিল। বর্তমানে চীন ও পেরুর মধ্যে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণের প্রতিনিধিত্বকারী প্রকল্প- চানকাই বন্দর এই প্রাচীন ট্রেইলে নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে।
স্প্যানিশ ভাষায়, চানকাই-এর উচ্চারণ শাংহাই-এর কাছাকাছি, এবং ‘চানকাই থেকে শাংহাই’ একটি জনপ্রিয় কথা হয়ে উঠেছে, যা নতুন যুগে এই নতুন স্থল-সমুদ্র করিডোরের জন্য মানুষের প্রত্যাশার প্রতিনিধিত্ব করে। বিশেষত, এই নতুন অবস্থানের ‘নতুনত্ব’ দুটি দিক থেকে প্রতিফলিত হয়। প্রথমত, এটি একটি "সোনালি" বন্দর। চানকাই বন্দর প্রকল্পের প্রথম ধাপ পেরু থেকে চীনে শিপিং সময়কে ২৩ দিনে কমিয়ে দিয়েছে, লজিস্টিক খরচ ২০ শতাংশেরও বেশি সাশ্রয় করেছে। যা প্রতি বছর পেরুতে ৪.৫ বিলিয়ন আয় তৈরি করেছে এবং ৮ হাজারেরও বেশি সরাসরি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।
একই সময়, চানকাই বন্দর একটি ‘সবুজ’ বন্দর। প্রকল্পের জলাভূমি, সৈকত ও জৈবিক আবাসস্থলের পরিবেশগত অবস্থার উন্নয়ন এবং স্থানীয় অর্থনীতি ও সমাজের টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি প্রাণী উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এতে দেখা যায় যে, চানকাই বন্দরটি শুধুমাত্র ‘নতুন যুগে ইনকা ট্রেইলের’ জন্য একটি নতুন সূচনা বিন্দু নয়, লাতিন আমেরিকার মানুষের সুখী জীবনের জন্য একটি নতুন সূচনা পয়েন্টও বটে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, ‘একটি উন্নত ভবিষ্যত সামনে রয়েছে।’
শুধুমাত্র চনকাই বন্দরের উদ্বোধনই নয়, প্রেসিডেন্ট সি সফরের সময়, দুই রাষ্ট্রপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। যেমন- যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণের সহযোগিতা পরিকল্পনা এবং অবাধ বাণিজ্য চুক্তি উন্নয়নের প্রোটোকল। উভয় পক্ষ ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার পরিকল্পনা তৈরি করতে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে। প্রেসিডেন্ট বোরুয়ার্তে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট সি’র সফর অবশ্যই দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠবে, পেরু ও চীনের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে; যা দু’দেশের জনগণের আরও দীর্ঘস্থায়ী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ে তুলবে।