বাংলা

কেন চীনের মানবাধিকার সুরক্ষা জাতিসংঘের ‘উষ্ণ প্রশংসা’ পেয়েছে- সিএমজি’র সম্পাদকীয়

CMG2024-07-05 20:48:12

জুলাই ৫: যুক্তরাষ্ট্র সময় (বৃহস্পতিবার) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম সম্মেলনে চীনের চতুর্থ দফা জাতীয় মানবাধিকার তত্ত্বাবধান রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে। সে সভায় চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতির উষ্ণ প্রশংসা করা হয়। অনেক দেশের প্রতিনিধিরা চীনা প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানান। প্রকৃতপক্ষে, জানুয়ারিতে এই রিপোর্ট যাচাই করার সময় ১২০টিরও বেশি দেশ মানবাধিকার সুরক্ষায় চীনের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। সিএমজি সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।

সম্পাদকীয়তে বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে জাতিসংঘের কাঠামোতে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার ইস্যুতে আন্তরিক যোগাযোগ এবং গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। চীন ২০০৯, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে তত্ত্বাবধানের প্রথম তিন দফায় অংশ নিয়েছে। পর্যালোচনার তৃতীয় দফার পর থেকে, মানবাধিকার খাত উন্নত করায় ধারাবাহিক আইন বা সংশোধন আইন প্রবর্তন করেছে এবং পর্যালোচনার চতুর্থ দফার বেশিরভাগ সুপারিশ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, মানবাধিকার রক্ষার ৩০টি নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণাও করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গণজীবিকা ও কল্যাণ, মানবাধিকার খাতের আইনি সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সহযোগিতা প্রভৃতি। চীনের ‘উন্মুক্তকরণ ও মানবাধিকার কার্যকরের’ মূল্যায়ন করেছে বিভিন্ন পক্ষ।

চীনে মানবাধিকারের ঐক্য সম্পর্কে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বাস্তবতাই প্রকৃত কথা। বছরের পর বছর ধরে অস্তিত্বের অধিকার ও উন্নয়নের অধিকার মানবজাতির মৌলিক মানবাধিকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসাবে মেনে চলেছে চীন। চীন উত্থাপন করেছে যে, ‘বেঁচে থাকা সব মানবাধিকার উপভোগ করার ভিত্তি, এবং মানুষের সুখী জীবনই সর্বশ্রেষ্ঠ মানবাধিকার’। চরম দারিদ্র্য সমস্যার ঐতিহাসিক সমাধান এবং একটি বহুমুখী সচ্ছল সমাজের গড়ে তোলা থেকে শুরু করে বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং ফাইভ জি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত মানবাধিকার সুরক্ষায় চীনের সাফল্য সবার কাছে সুস্পষ্ট।

Close
Messenger Pinterest LinkedIn