বাংলা

আত্মবিশ্বাসের অভাব ঢাকতে চীনকে নিয়ে শক্ত বক্তব্য দিয়েছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMG2024-06-06 20:34:05

জুন ৬: ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফারনান্দেজ মার্কোস সম্প্রতি ২১তম শাংরি-লা সংলাপে এক ভাষণে বলেন, ‘জাতিসংঘ সামুদ্রিক আইন কনভেনশন’ ও তথাকথিত ‘দক্ষিণ চীন সাগর শালিসি মামলার’ রায় উভয়ই ফিলিপিন্সের বৈধ অধিকারকে স্বীকার করেছে। যা দক্ষিণ চীন সাগর বিষয়ে ফিলিপিন্সের নীতির ভিত্তি। তিনি চীনকে জানান যে, ভূখণ্ড খাতে ফিলিপিন্স আপস করবে না। এর জবাবে চীনা প্রতিনিধি স্পষ্টভাবে জানান, সংশ্লিষ্ট উস্কানিমূলক কার্যক্রমে চীন যথেষ্ট সংযম বজায় রেখেছে, তবে তার একটা সীমা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশের উচিত সুষ্ঠুভাবে বিবেচনা করে সংলাপ ও আলোচনার সঠিক পথে ফিরে আসা। এ বিষয়ে সিএমজি সম্পাদকীয় বলেছে, আত্মবিশ্বাসের অভাব ঢাকতে চীনকে নিয়ে কঠিন বক্তব্য দিয়েছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট।

ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না। ফিলিপিন্সে আগে স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্র উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। ফিলিপিন্সের ভূখণ্ড ১৮৯৮ সালের ‘যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের শান্তি চুক্তি’সহ ধারাবাহিক আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে চীনের নান সা দ্বীপপুঞ্জ ও হুয়াং ইয়ান দ্বীপ নাই।

উল্লেখ্য যে, গত ১৯৭০ সালে চীন ও ফিলিপিন্স কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর, দক্ষিণ চীন সাগর সমস্যা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে, ২০২২ সাল মার্কোস প্রেসিডেন্ট হবার পর, ফিলিপিন্সের জাহাজ ও নৌকা ঘনঘন চীনের রেনআই রিফ ও হুয়াং ইয়ান দ্বীপ সংলগ্ন সাগর অঞ্চলে আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। এতে দু’দেশের সম্পর্ক অব্যাহত হ্রাস পাচ্ছে।

আসলে ফিলিপিন্স সরকারের এহেন আচরণের পিছনে কারণ আছে। ফিলিপিন্সের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুয়াজন জানান, প্রক্সি যুদ্ধের উপকরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র মার্কোসকে বেছে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভুয়া নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি, বড় পরিমাণের সেকেন্ড হ্যান্ড অস্ত্রের সরবরাহ ও ফিলিপিন্সে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব, এসব কারণে ফিলিপিন্স এহেন আচরণ করেছে বা করছে।

ইতিহাস ও আইনগত ভিত্তি না থাকা, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করা...ফিলিপিন্স এভাবে আন্তর্জাতিক সমাজকে প্রতারিত করতে পারবে না। তা শুধু নিজের বিপদ ডেকে আনবে ও একঘরে অবস্থানে ঠেলে দেবে।

Close
Messenger Pinterest LinkedIn