বাংলা

জাপানি প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্রে ৩১টি পৃষ্ঠা জুড়ে চীনের কথা উল্লেখ করা হলো কেন: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMG2023-08-02 18:17:48

অগাস্ট ২: সম্প্রতি জাপান ২০২৩ সালের প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। শ্বেতপত্রে বলা হয়, জাপান ‘দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর সবচেয়ে গুরুতর ও জটিল নিরাপত্তা পরিবেশের সম্মুখীন’ এবং চীনকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’। ৫০০ পৃষ্ঠারও বেশি বইয়ে ৩১ পৃষ্ঠা জুড়ে শুধু চীনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্র হল জাপানের বার্ষিক সরকারি দলিল, যা তার জাতীয় নিরাপত্তা পরিবেশ ও প্রতিরক্ষা নীতি উল্লেখ করেছে। একে সর্বদা জাপানের প্রতিরক্ষা নীতির ‘পরিস্থিতি’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০ সালে জাপান সরকার প্রথম ‘প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করেছিল। ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর তা প্রকাশিত হয়ে আসছে।

এবারের জাপানের প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্রে পুনরায় ‘চীনা হুমকির’ কথা উল্লেখ করা হয়। ২০২৭ সাল পর্যন্ত অর্থাত্ পাঁচ বছরের মধ্যে দেশটি ৪২ ট্রিলিয়ন ইয়েন বরাদ্দ দেবে এবং তথাকথিত পাল্টা হামলার ক্ষমতা বাড়াবে। বহুমুখী, মহাকাশ, ইন্টারনেট ও বিদ্যুত্চুম্বক তরঙ্গসহ বিভিন্ন নতুন ক্ষেত্রে সামর্থ্য বাড়াবে জাপান।

শ্বেতপত্রে আরো বলা হয়, গত দশ বছরে জাপান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বার্ষিক সামরিক মহড়া বছরে ২৪ থেকে ১০৮টিতে বাড়ানো হয়েছে। ফুমিও কিশিদা মন্ত্রিসভার জন্য ‘প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্রের’ মাধ্যমে বহিরাগত হুমকিকে অতিরঞ্জিত করে জাতীয় মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া ও সমর্থন বাড়াবে। উল্লেখ্য ক্রমবর্ধমান দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে কিশিদা সরকারের প্রতি জনসমর্থনের হার সম্প্রতি হ্রাস পেয়েছে।

বস্তুত জাপানের বিভিন্ন বিপজ্জনক পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক সমাজ গুরুতর উদ্বিগ্ন। জাপানের মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন গবেষক হিরোশি শিরাতোরির দৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ সংবিধান মেনে চলা হলো জাপানের স্থায়ী উন্নয়নের বাস্তবায়নের ভিত্তি। জাপান সরকারের উচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চীনের জন্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা ও চীন সম্পর্কে বোঝাপড়া বাড়ানো।

Close
Messenger Pinterest LinkedIn