বাংলা

ন্যাটো শীর্ষসম্মেলনে চীনের কথা ওঠে কেন: সিএমজি সম্পাদকীয়

CMG2023-07-13 19:22:55

জুলাই ১৩: গতকাল (বুধবার) ন্যাটো ভিলনিয়াস শীর্ষসম্মেলন শেষ হয়। এর আগে প্রকাশিত শীর্ষসম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় ডজন খানেক বার চীনের নাম উল্লেখ করা হয়। গত বছরের জুন মাসে ন্যাটো মাদ্রিদ শীর্ষসম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় আরও বেশি বার চীনের নাম এসেছিল।

কর্মসূচি অনুযায়ী, এবারের ন্যাটো শীর্ষসম্মেলনে ইউক্রেন পরিস্থিতি ও জোটের সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। তবে, কেন বার বার চীনের কথা উল্লেখ করা হলো? আসলে, এটি মোটেই আশ্চর্যজনক নয়। ন্যাটো হলো বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট। এটি টিকিয়ে রাখতে হলে প্রতিপক্ষ লাগবে। স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর প্রতিপক্ষের কোনো অস্তিত্ব আর ছিল না। তবুও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে জোট টিকিয়ে রাখা হয়। সম্প্রতি জো বাইডেন প্রশাসন চীনকে ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রতিযোগী’ হিসাবে আখ্যায়িত করে।

বর্তমানে ওয়াশিংটনের চাপে ন্যাটো আর ইউরোপীয় নিরাপত্তার প্রতীক নয়, বরং মার্কিন স্বার্থের রক্ষক হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই চীনকে ‘পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যদিও ন্যাটোর অনেক সদস্য এ ধারণার সাথে একমত নয়। আসলে, চীন কখনও সক্রিয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর সাথে দ্বন্দ্বে যায়নি এবং কখনও প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি। উল্টো, ৩০ বছর ধরে চীন ৫০ হাজারেরও বেশি সৈন্য পাঠিয়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে অংশ নিয়ে আসছে। চীন এখন ‘শান্তিরক্ষা অভিযানের পক্ষের শক্তি’ হিসেবেই বেশি পরিচিত, যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়।

Close
Messenger Pinterest LinkedIn