বাংলা

‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ২৭

CMG2024-08-23 19:07:17

চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’।

বিজনেস টাইম’ য়ের এই পর্বে থাকছে:

§ পুরনো গাড়ি বদলে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে দ্বিগুণ ভর্তুকি দিচ্ছে চীন

ভোক্তারা নেতুন গাড়ি কিনতে গেলে পুরাতন গাড়ির বদলে ২০ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত ভর্তুকি পাবেন। নতুন গ্যাস চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে এ ভর্তুকি ৭ হাজার ইউয়ান থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ইউয়ান করা হয়েছে।

অটোমোবাইল উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশনের উপ প্রধান প্রকৌশলী সু হাইতোং জানালেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়াতে নতুন এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য চীন সরকার ভর্তুকি বাবদ প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ইউয়ানের একটি তহবিলও গঠন করেছে।

অন্যদিকে, বিদেশি ও যৌথ-উদ্যোগের নির্মাতারাও তাদের নিজেদের মতো করে গাড়ি বদলের প্রস্তাব দিচ্ছেন। বিএমডাব্লিউ ব্রিলিয়ান্স তাদের ১২টি জ্বালানি মডেল এবং ৭টি বৈদ্যুতিক মডেলের ক্ষেত্রে এই ট্রেড-ইন পদ্ধতি চালু করেছে।

গাড়ির উদ্যোক্তারা জানালেন, এ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো চীনের রাস্তা থেকে পুরনো জ্বালানির যানবাহন সরিয়ে কার্বন নির্গমন কমানো।

চীন টানা ৯ বছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম এনইভি উৎপাদনকারী ও বিক্রেতা। ২০৩৫ সালের মধ্যে অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করতে সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহনকে মূলধারায় নিয়ে আসা।

।। প্রতিবেদন: শাহানশাহ রাসেল

।। সম্পাদনা: ফয়সল আব্দুল্লাহ

§ বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে চীনের মতো পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়তে বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতাগুলো sকিভাবে দূর করা যায়: সাক্ষাৎকার

টেকশয় উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য বাংলাদেশে পরিবেশ বান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠা করতে জরুরী ভাবে নীতিমালা সংস্কার প্রয়োজন। এইজন্য চীন যে পদ্ধতি অবলম্বন করছে তা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজর গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।

§ বিশ্বের জাহাজ নির্মাণের ৭০ ভাগ অর্ডার যাচ্ছে চীনে

সম্প্রতি শাংহাইয়ের ছাংসিং দ্বীপে, ৩৩৬ মিটার লম্বা, ৫১ মিটার চওড়া এবং ২৬.৮ মিটার উঁচু একটি বিশাল কন্টেইনার জাহাজ ডেলিভারির জন্য সেট করা হয়েছে, যা ডেকটি তিনটি ফুটবল মাঠের সমান।

এলএনজি বা তরল জ্বালানি বহনকারী জাহাজটি এই বছর শাংহাইয়ের হুতোং চংহুয়া শিপবিল্ডিং প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা ষষ্ঠ জাহাজ। এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি কন্টেইনার জাহাজ বানাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) এর সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে বিশ্বব্যাপী পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে। যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে পণ্যবাহী জাহাজের চাহিদা।

আর বিশ্বব্যাপী এখন ১৮ ধরনের বড় জাহাজের মধ্যে ১৪টিতেই নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। বিশেষ করে কন্টেইনার জাহাজের অর্ডারগুলোতে বিশ্ববাজারের ৯৭.৫ শতাংশই চীনের দখলে।

শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাড়ি পরিবহনের কাজেও পণ্যবাহী বড় জাহাজের চাহিদা বাড়ছে।

চায়না মার্চেন্টস হেভি ইন্ডাস্ট্রি হাইমেনের নির্মাণ ব্যবস্থাপক ছাই ই বলেন,

‘গাড়ি রপ্তানির চাহিদা বৃদ্ধি আমাদের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বিকাশকে উৎসাহিত করছে। পুরো শিল্পটি এখন রেকর্ড পরিমাণ অর্ডার ভলিউমের সাক্ষী হচ্ছে।’

সাংহাই কাস্টমসের পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ বিভাগের উপ-পরিচালক লি চিরোং জানান,‘কাস্টমস ডেটা দেখিয়েছে, বড় তরল প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবহনকারী জাহাজ, তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস জাহাজ, বড় কন্টেইনার জাহাজ এবং অটোমোবাইল পরিবহনের জন্য নিবেদিত রো-রো জাহাজের চাহিদা চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বেড়েছে ৯০ শতাংশ। জাহাজ বিক্রির সামগ্রিক বৃদ্ধিতে এগুলো ৬০ শতাংশের বেশি অবদান রেখেছে।’

এই বছরের প্রথমার্ধে, চীনের জাহাজ নির্মাণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ০২ মিলিয়ন ডেডওয়েট টনে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৮.৪ শতাংশ

বেশি, আর অর্ডার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডেডওয়েট টনে।

।। কন্ঠ: শান্তা মারিয়া

।। প্রতিবেদন: ফয়সল আব্দুল্লাহ

।। সম্পাদনা: শাহানশাহ রাসেল

§ তথ্য: বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প-রোবট বাজার চীন

বেইজিংয়ে চলছে বিশ্ব রোবট সম্মেলন ২০২৪ । টেসলা এবং সিয়াসুনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানসহ বিশ্বের ১৬৯টি কোম্পানি এতে অংশ নিয়েছে । অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ৬০০টিরও বেশি ইউনিট রোবট প্রদর্শন করেছে। এর মধ্যে ৬০টিরও বেশি রোবট প্রথমবারের মতো এই সম্মেলনই প্রদর্শিত হচ্ছে।

চীনের শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জানায়, চীন টানা ১১ বছর ধরে শিল্পরোবটের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বাজারের স্থান ধরে রেখেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে চীনের শিল্পরোবট উৎপাদন চার লাখ ৩০ হাজার সেটে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে গত তিন বছর ধরে চীনের রোবট ইনস্টলেশন বিশ্ব বাজারের অর্ধেকেরও বেশি।

২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত চীন এক লাখ ৯০ হাজারের বেশি কার্যকর রোবট সংক্রান্ত পেটেন্ট লাভ করেছে যা বিশ্বের মোট সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ।

প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: শাহানশাহ রাসেল

অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ

সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

Close
Messenger Pinterest LinkedIn