‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ২৬
চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’।
বিজনেস টাইম’ য়ের এই পর্বে থাকছে:
§ পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ে তুলতে চীনকে অনুসরণ করে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশ কি পদক্ষেপ নিতে পারে: সাক্ষাৎকার
§ ২০৩৫ য়ের মধ্যে পুরো দেশকে পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তোলোর দিক নির্দেশনা, চলছে পুরো দমে কাজ
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও রাস্ট্রীয় পরিষদ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে চীনকে পরিবেশ বান্ধব করতে একটা সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা তৈরি করেছে। নির্দেশনার প্রধান লক্ষ্য দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে
পরিবেশ বান্ধবের সকল ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করবে। আর ২০৩৫ য়ের মধ্যে পরিবেশ বান্ধব, কম কার্বন নিঃসরণ, সামগ্রিক উন্নয়নের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে একটি সুন্দর চীন গড়ে তোলা হবে। সে লক্ষ্যে চীনের গ্রাম ও শহরগুলোর উন্নয়নে জ্বালানি,পরিবহন খাত, শিল্প কাঠামোকে পরিবেশ বান্ধব করে তোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাবে।
v পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়ে তুলতে চীনকে অনুসরণ করে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশ কি পদক্ষেপ নিতে পারে: সাক্ষাৎকার
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো কিভাবে পরিবেশ বান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠা করে নিজেরা কম কার্বন নিঃসরণ করে দেশ ও সামগ্রিক বিশ্ব বাঁচাতে পারে তা নিয়ে চায়না আর্ন্তজাতিক বেতারকে মতামত জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজর গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।
§ অভিনব সেবা ব্যবসা পদ্ধতিতে জনপ্রিয় হচ্ছে চীনের সুপার শপগুলো
চীনের হ্যনান প্রদেশের সুপারশপ পাংতোংলাই। ভিন্ন কিছু কারণে সুপারশপটি আলোচিত হয়েছে গোটা চীনজুড়ে।
ব্যতিক্রমী পরিষেবা, স্বচ্ছতা এবং মানসম্পন্ন পণ্যের কারণে সারা দেশে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনেও এটি এখন এক নম্বরে।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাংতোংলাই মাত্র ১৩টি শাখা নিয়েই এখন চীনের প্রভাবশালী সুপারশপে পরিণত হয়েছে।
শুধু হ্যনানে পরিচালিত হলেও পাংতোংলাইয়ের খ্যাতি এখন সারা চীনে। ব্যবসায়িক নেতারা এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে এর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।
পাংতোংলাইয়ের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এখানকার গ্রাহক কোনও পণ্য নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে, সেটা ফেরত দিতে পারবেন। এমনও ব্যবস্থা আছে যে, কোনো গ্রাহকের যদি সিনেমা দেখে ভালো না লাগে তবে ২০ মিনিটের মধ্যে তিনি টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থ ফেরত পাবেন।
গ্রাহকরা এখানে চমৎকার গ্রাহক পরিষেবা উপভোগ করতে পারছেন। সুপারশপের প্রবেশদ্বার ও পার্কিং লটে আছে পোষা প্রাণীর জন্য পানি পান করা ও মলমূত্র ত্যাগের ব্যবস্থা। প্রাণীটাকে নিরাপদে রেখে যাওয়ার সুযোগও দিচ্ছে সুপারশপটি।
প্রতিটি তলায় রাখা হয়েছে পানি পান করার ব্যবস্থাসহ গ্রাহকদের জন্য নানা সুবিধা। আছে একেক ধরনের কেনাকাটার জন্য একেক ধরনের শপিং কার্ট। এমনকি এখানকার পণ্যগুলোও গুনেমানে অনন্য।
পাংতোংলাই তাদের কর্মীদের বেতন ও অভিনব সব সুবিধা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি কাজের এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে যেখানে কর্মচারীরাও ভোক্তাদের সেবা দিতে আরও অনুপ্রাণিত হয়।
এই বছর থেকে, চীনের ইয়োংহুই নামের আরেকটি সুপারমার্কেট চেইনকেও নতুন করে সাজাতে সহযোগিতা করছে পাংতোংলাই। চীনজুড়ে ৯০০টিরও বেশি স্টোর পরিচালনা করছে ইয়োংহুই। সুপারশপের লেআউট এবং পণ্য নির্বাচন থেকে শুরু করে পুরানো আইটেম সরিয়ে নতুন পণ্য আনার কাজেও ইয়োংহইকে তথ্যসেবা দিচ্ছে পাংতোংলাই।
এতে করে হ্যনানের চেংচৌতে ইয়োংহুই সুপার মার্কেটের বিক্রিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
অফিসিয়াল তথ্যে দেখায়, নতুন করে খোলার প্রায় এক মাস পর, সুপারশপটির গড় বিক্রি দিনে ১৮ লাখ ইউয়ানে পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাংতোংলাইয়ের এ সাফল্য মূলত চীনের সমগ্র খুচরা বাজারের বিবর্তনকেই ইঙ্গিত করে। ভোক্তাদের চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার যে প্রচেষ্টা সুপারশপগুলোতে দেখা যায় তাতেও এটা পরিষ্কার যে, চীনের খুচরা বাজার এখন ভোক্তাদের মন জয় করার প্রচেষ্টা ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনার পেছনেও সময় ব্যয় করছে।
।। প্রতিবেদন: ফয়সল আব্দুল্লাহ
।। সম্পাদনা: শাহানশাহ রাসেল
প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: শাহানশাহ রাসেল
অডিও সম্পাদনা: নাজমুল হক রাইয়ান
সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী