সিচুয়ান: জমজমাট পর্যটন ও রাতের অর্থনীতি
সিচুয়ান: জমজমাট পর্যটন ও রাতের অর্থনীতি
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: রাত নামলেই জমজমাট হয়ে ওঠে শপিং মল, বাজার, পর্যটনকেন্দ্র। কেউবা পরিবার নিয়ে আবার কেউ বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মেটে ওঠে আড্ডা আর গল্পে। আর এতেই চাঙ্গা এখারকার অর্থনীতি। বলছি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানের কথা। প্রাচীন শহর, প্রাচীন সংস্কৃতি আর পাহাড় ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের উপর ভর করে গড়ে উঠেছে সিচুয়ানের সমৃদ্ধ অর্থনীতি ও সামাজিক জীবন।
রাত নামলেই জেগে ওঠে নগর। জমে ওঠে আড্ডা, গান আর নানা আয়োজনে মাত হয় বাসিন্দারা।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানের চিত্রটা এমনই। তাইতো প্রদেশের শহরগুলোতে আনাগোনা বেড়েছে পর্যটকদের।
বিশেষ করে শীতপ্রধান এই প্রদেশের অর্থনীতিও ক্রমেই বাড়ছে। এখানকার সুয়ানহান কাউন্টির থুছিয়া জনগোষ্ঠীর মানুষ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি প্রদর্শন করে পর্যটকদের সামনে। নিজেদের লোকসংস্কৃতি ও সুবিশাল বাশান গিরিখাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মাতোয়ারা হয় পর্যটকরা। স্থানীয় সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, বাশান গিরিখাত দেখতে গেল জুলাই মাস পর্যন্ত এখানে সোয়া ২ লাখ পর্যটক ঘুরতে এসেছে। আর পর্যটন খাত থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সিচুয়ানের প্রাচীন শহর ইনইয়াং বিভাগের প্যাছোং শহর। এই শহরে হাজার বছরের পুরনো সংস্কৃতি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানকার গান, নৃত্য কিংবা জীবনাচার কাছ থেকে দেখতে প্রতি বছর ভিড় করেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক।
ফেং থিংথিং, পর্যটক
“ইনইয়াংয়ে এটাই আমাদের প্রথম আসা। এখানকার লাইট শো অসাধারণ ছিলো। পুরনো শহরটি দেখতে একেবারেই আলাদা ছিলো। আমাদের সফরটি স্মৃতিময় হয়ে থাকবে।“
স্থানীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরোর তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রতিদিন এখানে ঘুরতে আসে ৫০ হাজারের বেশি পর্যটক। বিশেষ করে সিচুয়ানের রাজধানী ছেংদুসহ প্রদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যাও উল্লেখ যোগ্য।
ছেন শেংছোং, কাউন্টি কর্মকর্তা
“আমরা তুচিয়া লোক সংস্কৃতির পুরো ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা নিতে সুন্দর ঝর্ণার পাশে প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে পর্যটকরাও আমাদের সঙ্গে গাইতে পারে, চাইলে নাচতে পারে। আমাদের বিশ্বাস এতে এই এলাকার রাতকেন্দ্রীক অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরো গতি পাবে।“
এরইমধ্যে এখানকার অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে নানা রকম সংস্কার কার্যক্রমে হাত দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিশেষ করে নতুন ব্যবসা শুরু করা, সরকারের অনুদান ও ভর্তুকি সহজে পাওয়া এবং রাতের অর্থনীতিতে আরো গতিশীল করতে নীতি কাঠামোতে পরিবর্তন আনছে স্থানীয় প্রশাসন।