বাংলা

করোনাকালেও জমজমাট চীনের স্মার্ট ট্যুরিজম!

CMG2022-05-26 19:32:50

সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: হাজার বছরের প্রাচীন নানা স্থাপন্য কীর্তি দেখছেন ঘরে বসেই। নেই ভ্রমণের ক্লান্তি, নেই দৈহিক পরিশ্রম। সঙ্গে পাবেন দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীর মাধ্যমে যে কোন স্থাপত্য নিদর্শনের নিখুঁত বর্ণনা। ভাবছেন, কোন সিনেমা বা তথ্য চিত্রের কথা বলছি? না। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যে কোন প্রাচীন পর্যটন স্থান বা স্থাপত্য কীর্তি ঘুরে আসার সুযোগ তৈরি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। চীনের বিখ্যাত ‘দ্য ফরবিডেন সিটি’ কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা মহামারিতে পর্যটন স্থানটি চাঙ্গা রেখেছে ডিজিটাল পর্যটনের সুযোগ।

কে না জানে করোনায় স্তব্ধ হয়েছিলো পুরো বিশ্ব? পর্যটন স্থানতো দূরে থাক নিতান্ত প্রয়োজনেও ঘরের বাইরে যাওয়ার চিন্তাই করতো না মানুষ। অথচ মহামারির এই পুরো সময় পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর ছিলো চীনের প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তি ‘দ্য প্যালেস মিউজিয়াম’!

তবে এ পুরো সময় পর্যটকদের সরাসরি উপস্থিতির মাধ্যমে নয় বরং ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরব থাকে ‘ফরবিডেন সিটি’ নামের এই জাদুঘর। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময়ে নাগরিকদের মধ্যে ভার্চুয়াল ট্যুর খুবই জনপ্রিয় হয়। রাজধানী বেইজিংয়ের খুব কাছে হওয়ায় বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করে শহুরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

চীনের ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম তওইন-এ এ সংক্রান্ত ভিডিও প্রকাশ করা হয়। জাদুঘর কর্মীরা বলছেন, পর্যটকদের বিস্তারিত জানাতে দক্ষ ও ইতিহাস সম্পর্কে নির্ভুল ধারণা রাখা জনবল কাজ করে তাদের সঙ্গে।

তু হাইচিয়াং, উপ-পরিচালক, দ্য প্যালেস মিউজিয়াম

“বেশি সংখ্যক দক্ষ জনবল নেওয়ার কারণে এখন ফরবিডেন সিটির পর্যটনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কোন পর্যটক একা একা ঘুরে যাওয়ার চেয়ে আমাদের এক্সপার্টদের ধারা-বর্ণনা আরো বেশি প্রভাব ফেলে পর্যটকদের মনে।”

পরিসংখ্যান বলছে, ফরবিডেন সিটির প্রায় ২০ লাখ সাংস্কৃতিক উপাদান ডিজিটাল আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। উন্নত মানের ছবিসহ সব মিলিয়ে এ জাদুঘরের ৯০টি প্রদর্শনীর ব্যবসার করা হয়েছে অনলাইনে। তুং হাইচিয়াং বলছিলেন, চীনা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে দারুণ কাজ করছে এই স্মার্ট ট্যুরিজম।

“ফরবিডেন সিটির অন্তত ৭ লাখ সাংস্কৃতিক স্থাপত্যকে ডিজিটাল আকারে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া প্রতি বছরই জাদুঘরের প্রায় ৮০ হাজার পুরাকীর্তিকে ডিজিটাল আকারে উপস্থাপন করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীনা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল ভার্সন খুব কাজে লাগছে।”

জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যটকদের জন্য ডিজিটাল মোবাইল মিনি প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে আশপাশের খুটিনাটি স্থাপনা, প্রাচীন স্থাপত্য কীর্তি, দোকান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।

Close
Messenger Pinterest LinkedIn