আপন আলোয় ৬৯
এ পর্বে অন্তরঙ্গ আলাপনে থাকছেন: সুকান্ত চক্রবর্তী
চীনের শিল্প, চীনের সংস্কৃতি
ক্যান্টোনিজ অপেরা নিয়ে প্রথম সিনেমায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি
চীনা সংস্কৃতির অন্যতম বড় নিদর্শন হিসেবে ধরা হয় ক্যান্টোনিজ অপেরাকে। ঐতিহ্যবাহী এই অপেরাকে উপজীব্য করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে চীন। ক্যান্টোনিজ অপেরাকে নিয়ে প্রথম এই চলচ্চিত্রের নাম দেওয়া হয়েছে 'দ্যা হোয়াইট স্নেক'। এরই মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুঁড়িয়েছে এই সিনেমা। দর্শকমহলে সাড়াও মিলেছে ব্যাপক।
ছবি: ক্যান্টোনিজ অপেরা
তবে এই চলচ্চিত্রকে আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে নেওয়া হয়েছে অভিনব উদ্যোগ। ক্যান্টোনিজ অপেরা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রে এবার ফোর-কে আল্ট্রা হাই ডেফিনিশন ও প্যানারোমিক সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ।
সংগীতানুষ্ঠানের জন্য আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেল সিজিটিএন
ছবি: সিজিটিএনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও কলা-কুশলী
চীনা নববর্ষ উপলক্ষে সিজিটিএনের বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান ''আ মিউজিক্যাল টোস্ট টু ২০২২' বিখ্যাত নিউইয়র্ক ফেস্টিভ্যালস টিভি অ্যান্ড ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড জয় করেছে। সিজিটিএনের অই অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও কলা-কুশলীরা। এ ছাড়াও নববর্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাতে বিশ্বের ৮টি দেশের তরুণ শিল্পীরা অংশ নেয়।
মোট ৪২টি দেশের প্রতিনিধির ভোটে সেরা নির্বাচিত হয় সিজিটিএনের সংগীতানুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
অন্তরঙ্গ আলাপন
জেলা-থানা-গ্রামপর্যায়ে গিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখি: সুকান্ত চক্রবর্তী
এক.
(ছায়ানটে) শিক্ষকতা করতে গিয়ে এ বোধটা তৈরি হলো যে, আমার শেখার জায়গাটায় আরও অনেক গভীরতর সাধনার প্রয়োজন। বাংলাদেশে আমি প্রথিতযশা গুরুদের পেয়েছি, ছায়ানটকে পেয়েছি, সম্মিলন পরিষদকে পেয়েছি। আমার একদল গুণী বন্ধুদের পেয়েছি- যাদের সান্নিধ্য আমাকে খুব উৎসাহিত এবং সংগীতমুখর করে রেখেছিল।
একটা সময় পরে গিয়ে মনে হলো এ সাধনা এবার কলকাতা কিংবা শান্তিনিকেতনমুখী না হলে আমার পক্ষে রবীন্দ্রনাথকে চেনা, রবীন্দ্রনাথকে ধারন করার জন্য যে সাংগীতিকবোধ সেটা তৈরি হবে না।
দুই.
আমরা জানি যে, রবীন্দ্রনাথ সারাজীবনব্যাপী বাঙালিকে একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিকে ধাবিত করেছেন। অবিভক্ত বাংলায় যে উৎসবরীতি ছিল, অনুষ্ঠানরীতি ছিল সেগুলোকে ধর্মীয় রীতি থেকে সামাজিক অনুষ্ঠানের দিকে নিয়ে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ বেশ কিছু অনুষ্ঠান নতুন করে প্রবর্তন করেছিলেন- যেগুলো বাঙালির জন্য একেবারেই নতুন ছিল। সংগীতের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ এ অনুষ্ঠানগুলোকে অর্থবহ ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করেন। (রবীন্দ্রভারতীতে পিএইচডি পর্যায়ে) আমার গবেষণার মূল বিষয় হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের এ সব অনুষ্ঠানসংগীত- তার বিষয়ভাবনা, তার সুরবৈচিত্র এবং বিবর্তন; কীভাবে রবীন্দ্রনাথের আমল থেকে বিবর্তিত হয়ে অনুষ্ঠানগুলো একবিংশ শতকে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে তার অনুসন্ধান।
ছবি: অভিজিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে গান করেন সুকান্ত
তিন.
আমার সংগীতগুরু ওয়াহিদুল হক স্বপ্ন দেখতেন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের- রংপুর কিংবা বান্দরবান কিংবা খুলনার একটি ছেলের চেতনা প্রকাশে রবীন্দ্রনাথ তার কাছে বন্ধুর মতো ধরা দিচ্ছেন। রবীন্দ্রবাণী তার অনুভূতি প্রকাশের একটা মাধ্যম হয়ে যাচ্ছে। এ রকম স্বপ্ন দেখি আমি এবং আমার ঢাকাকেন্দ্রিক কাজ করার কোনো ইচ্ছে নেই। আমার একদম জেলা পর্যায়ে, থানা পর্যায়ে, গ্রাম পর্যায়ে গিয়ে কাজ করবার ভীষণ ইচ্ছে।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারে সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের সংগীতভাবনার কথা তুলে ধরলেন ছায়ানট সংগীতবিদ্যায়তনের শিক্ষক, গবেষক ও সংগীতশিল্পী সুকান্ত চক্রবর্তী। জানালেন ঠাকুরবাড়ীর গান নিয়ে বিশেষ গবেষণা ও তার পরিচালিত সংগীতশিক্ষণ কার্যক্রম ‘অরণি’র কথা। শুনিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ এবং ঠাকুরবাড়ীর অন্য গীতরচয়িতাদের গান।
সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্ক জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।
পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম।
প্রতিবেদন: তানজিদ বসুনিয়া
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া