দেহঘড়ি পর্ব-২৯-China Radio International
‘দেহঘড়ি’র এ পর্ব আমরা সাজিয়েছি স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’ সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং ‘মৌসুমী স্বাস্থ্য পরামর্শ’ দিয়ে।
## প্রতিবেদন
চীনের সঙ্গে যৌথ-টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ
চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের পর দু’মাসের মধ্যেই টিকা উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে আশা করছে উভয় পক্ষ।
সম্প্রতি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের টিকা উৎপাদনে দু’দেশের সহযোগিতার বিষয়টি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে আলোচনার পর চীনা রাষ্ট্রদূত যৌথ-টিকা উৎপাদনের সমঝোতা স্মারক পাঠিয়েছেন। সেটি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে বাংলাদেশ সরকার, সিনোফার্ম ও দেশীয় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পায় ইনসেপ্টা।
উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় চীন থেকে তৈরি কাঁচামাল এনে দেশে পরবর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইনসেপ্টা বাল্ক আনবে। এরপর স্থানীয়ভাবে বোতলজাতকরণ, লেবেলিং ও ফিনিশিং এসব করবে।”
আব্দুল মোমেন জানান চীনের সিনোফার্মের কাছ থেকে টিকা কেনা শুরুর পর এক মাসে ৭০ লাখ টিকা এসেছে বাংলাদেশে। এছাড়া চীন সরকারের উপহার হিসেবেও এসেছে ১১ লাখ ডোজ টিকা।
পর্যায়ক্রমে আরও টিকা আসবে এবং সিনোফার্ম বাংলাদেশকে নিরবচ্ছিন্নভাবে টিকা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তবে সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
সে প্রেক্ষাপটে তখন অন্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করে সরকার। - অভি/রহমান
##হেল্থ বুলেটিন
বাংলাদেশে বিধিনিষেধ বাড়ল ১০ আগস্ট পর্যন্ত
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ঢাকায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োগ শুরু
প্রায় দুই মাস বিরতির পর বাংলাদেশের রাজধানীতে আবারও দেওয়া শুরু হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় ডোজ। সোমবার ঢাকায় টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। আগামীকাল শনিবার থেকে সারাদেশে আগের নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়েছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই মরণঘাতি ভাইরাসে বিশ্বে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে ৪২ লাখেরও বেশি মানুষ। আর করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হয়েছে ১৮ কোটি মানুষ। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চার নির্দেশনা
বাংলাদেশের আঠারো বছর বা তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। - তানজিদ/রহমান
## কী খাবো, কী খাবো না
গুণে ভরা আমড়া
আমড়া বাংলাদেশে অত্যন্ত সহজলভ্য একটি ফল। সারাবছরই কম-বেশি এই ফলটি পাওয়া গেলেও এর প্রকৃত মৌসুম হচ্ছে জুলাই-আগস্ট। আমড়ার উপকারিতা ও গুণাগুণ অনেকেরই অজানা। এ ফলে থাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ক্যারোটিন, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পেকটিন-জাতীয় আঁশ এবং অল্প পরিমাণে প্রোটিন। আমড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং মৌসুমী ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। আসুন জেনে নেই আমড়ার উপকারিতা ও গুণাগুণ সম্পর্কে:
সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুঞ্জার বিরুদ্ধে লড়ে: সর্দি, কাশি ও জ্বর উপশমেও আমড়া অত্যন্ত কার্যকরী। বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা ছাড়াও আমড়া সর্দি, কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে, যার ফলে নানা সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায় আমড়া খেলে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: আমড়ার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও এর কার্যকারিতা নিয়ে ২০১০ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা দেখতে পান যে, আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যাকে তারা হার্টের ওষুধ রেমিপ্রিলের সাথে তুলনা করেন। গবেষণায় তারা দেখেন, আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যার ফলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: আমড়া ভিটামিন-সি-এর ভালো উৎস। ভিটামিন-সি একটি অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত আমড়া খেলে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির বিরুদ্ধেও শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়াই করে আমড়া।
রুচি বাড়ায়: অসুস্থ ব্যক্তি বা যারা বিভিন্ন কারণে মুখের স্বাদ হারিয়েছেন, তাদের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে আমড়ার দারুণ কার্যকর। আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
রক্তস্বল্পতা রোধ করে: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন বা লৌহ থাকে, যা রক্তস্বল্পতা রোধে কার্যকরী। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ঠিক রাখে।
বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: আমড়ায় থাকে পেকটিন-জাতীয় দ্রবণীয় ফাইবার বা আঁশ, যা পাকস্থলীর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। আর এর ফলে বদহজম, পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে বাঁচা যায়।
ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে: ক্যালসিয়ামের অভাব হলে হাড়ের সমস্যা, মাংসপেশীর খিঁচুনিসহ নানা রোগ হতে পারে। তবে নিয়মিত আমড়া খেলে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর হয়।
ত্বক ভাল রাখে: ত্বকের ব্রণ কমাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমড়া দারুণ কার্যকর। আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে, যা ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন বা লৌহ থাকায় এটি রক্তস্বল্পতা রোধে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক পর্যায়ে রাখায় ভূমিকা পালন করে। - রহমান
## আপনার ডাক্তার
দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি নিউমোনিয়া নিয়ে। নিউমোনিয়া নিরাময়যোগ্য ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিরোধযোগ্য। তা সত্ত্বেও এ রোগে বিশ্বে প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী ২ হাজার ২শ' শিশু মারা যায়। এক বিশ্লেষণের উদ্বৃতি দিয়ে ইউনিসেফ বলছে, ২০২০ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮ লাখেরও বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়, অর্থাৎ প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে দুই বছরের কম বয়সী যত শিশু মারা যায়, তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয় জীবনের প্রথম মাসেই। নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থানও বেশ ওপরে। ইউনিসেফের ২০১৮ সালের এক হিসাবে দেখা যায়, নিউমোনিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১৪তম। ওই বছর দেশে পাঁচ বছরের কমবয়সী ১২ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয় এ রোগে; অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় একজনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে মৃত্যুবরণ করা শিশুদের ১৩ শতাংশেরই মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ায়। টিকা দিয়ে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং সঠিকভাবে নির্ণয় করা গেলে স্বল্প ব্যয়ের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সহজেই চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু বহু শিশুকে এখনও টিকা দেওয়া হচ্ছে না – এবং প্রতি তিনটি শিশুর একটির মধ্যে লক্ষণগুলো উপস্থিত থাকলেও তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না।
নিউমোনিয়ার কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাবিলা আকন্দ। তিনি কাজ করছেন ঢাকা শিশু হাসপাতালে।
## মৌসুমী স্বাস্থ্য পরামর্শ
বর্ষায় শিশুকে রোগ-বালাই থেকে বাঁচাতে এগুলো মেনে চলুন
বর্ষাকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় নানা ধরনের রোগ-বালাই। এ সময় আর্দ্র আবহাওয়া ও মশার প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়াসহ ফ্লু বা ভাইরাসজনিত রোগতো আছেই; সেই সঙ্গে মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, কলেরা ও ডায়রিয়ার মতো রোগ ছড়ায় ব্যাপকভাবে। তবে ঘরোয়া কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলে বর্ষায় শিশু সুস্থ থাকে। আসুন জেনে নিই এমন কতগুলো উপায় সম্পর্কে:
ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান: বর্ষাকালে শিশুরা ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়াসহ ফ্লু বা ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এসব সংক্রমণ থেকে শিশুকে বাঁচাতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন। ভিটামিন ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শিশুদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যেন পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন-এ বি ও সি থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
মশার বসতি ধ্বংস করুন: ঘরের ভিতরে বা আশপাশে যেন মশার বসতি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ঘরের চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং কোথাও পানি জমে না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ জমে থাকা পরিস্কার পানিই ডেঙ্গিজ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশার প্রজননস্থল।
ঘর পরিষ্কার রাখুন: শিশুর ঘর যেন স্যাঁতস্যাঁতে না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। ঘর যেন সব সময় শুকনো ও পরিষ্কার থাকে এবং ঘরে যাতে নিয়মিত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করান: বর্ষায় নিয়মিত গোসল খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করতে হবে দিনের সবচেয়ে উষ্ণ সময়ে শিশুকে গোসল করানোর। গোসলের জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড মিশিয়ে দিলে গোসলের পানি শিশুর জন্য নিরাপদ হয়।
বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন: বর্ষায় শিশুকে বাইরের খাবার খাওয়াবেন না। কারণ খোলা খাবারে কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু থাকতে পারে। শিশুকে তাই সব সময় টাটকা ও গরম খাবার খাওয়ান।
ফুটানো পানি খাওয়ান: পানিবাহিত রোগগুলো থেকে বাঁচাতে বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে শিশুকে। পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খাওয়ালে সবচেয়ে ভালো।
শরীর ঢেকে রাখুন: মশার হাত থেকে বাঁচাতে শিশুকে এমন কাপড় পরান যেন তার পুরো শরীর ঢেকে থাকে। এ সময় সুতির পোশাক পরাতে হবে শিশুকে। এছাড়া শিশুর পা সব সময় শুকনো রাখতে হবে এবং ঘরের ভেতরেও স্লিপার পরে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দিনে কিংবা রাতে যখনই শিশু ঘুমাক, তাকে মশারির মধ্যে রাখতে হবে। - রহমান
দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।