চীন-ব্রাজিল মৈত্রী চা উদ্যান
সম্প্রতি চীনা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় রিও ডি জেনিরোতে চীন-ব্রাজিল মৈত্রী চা উদ্যান উদ্বোধন করা হয়। এটি হলো ব্রাজিলে চীনা প্রতিষ্ঠানের একটি সমাজকল্যাণ প্রকল্প। এটি দু’দেশের মৈত্রী জোরদারে সহায়ক হবে।
চা-কে কেন্দ্র করে চীন ও ব্রাজিল দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সাথে জড়িত। ১৮০৮ সালে রিও ডি জেনিরোর উদ্ভিদ উদ্যান গড়ে তোলার সময় ব্রাজিলে প্রবাসী চীনারা এখানে দু’টি চীনা চা-গাছ রোপণ করেছিলেন। বর্তমানে চীনা প্রতিষ্ঠান এ দু’টি চা-গাছকে কেন্দ্র করে চীন-ব্রাজিল মৈত্রী চা উদ্যান গড়ে তুলেছে। এর ফলে ব্রাজিলে চীনা বিশিষ্ট্যসস্পন্ন চা-গাছ রপ্তানি হয়েছে। আর এর মাধ্যমে চীনা চা-সংস্কৃতি ব্রাজিলে আরও পরিচিত হচ্ছে। চা-গাছ রোপণের মাধ্যমে দু’দেশের মৈত্রীও জোরদার হয়েছে। এ সম্পর্কে রিও ডি জেনিরোর উদ্ভিদ উদ্যানের প্রধান সার্জিও বলেন,
“আমি ব্রাজিলে অনেক ধরণের চা পান করেছি। তবে, আমি চীনা চা খুবই পছন্দ করি। কিন্তু বর্তমানে ব্রাজিলে শুধু রিও বা সাও পাওলোর মতো মহানগরে চীনা চা পাওয়া যায়। চীনা চা উদ্যানের মাধ্যমে আরও বেশি ব্রাজিলিয়ান চীনা চা সম্পর্কে জানতে পারবেন।”
চীন-ব্রাজিল মৈত্রী চা উদ্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি যুব সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করে। ২০১১ সাল থেকে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো স্থায়ীভাবে ব্রাজিলে এ খাতে অর্থায়ন করে আসছে। স্থানীয় ৭ হাজার দরিদ্র যুবক এ অর্কেস্ট্রার মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। সঙ্গীতজ্ঞ মালিয়া বলেন, চীনের সহায়তায় তাঁর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে; সংগীত তার জীবন পরিবর্তন করেছে।
গত আগষ্টে চীন-ব্রাজিল কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্রাজিলের এ যুব অর্কেস্ট্রা বেইজিংয়ে এসে চীনা শিল্পীদের সঙ্গে পরিবেশন করে। অর্কেস্ট্রা কন্ডাক্টর ফেলিপ ব্যারেটো কোচেম তার চীন ভ্রমণের কথা স্মরণ করে বলেন, “আমি চীনে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। এটি হলো গ্রেটওয়াল ও নিষিদ্ধ নগর ভ্রমণ। চীন সত্যি একটি সুন্দর দেশ। চীনা হাইস্পিড রেলওয়ে অসাধারণ। দু’দেশের মানুষ সংগীতের মাধ্যমে যোগাযোগ জোরদার করেছে।”