থাইল্যান্ডের স্বয়ংচালিত শিল্পের বৈদ্যুতিক রূপান্তর ও চীনা গাড়ি
প্রতিষ্ঠানগুলোকে ছাড় দেওয়া ছাড়াও, থাই সরকার সেদেশের বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনার জন্য স্থানীয় গ্রাহকদের গাড়িপ্রতি ১ লাখ বাথ পর্যন্ত ক্রয়-ভর্তুকি প্রদান করে। থাই সরকার সারা দেশে পাবলিক চার্জিং স্টেশনসহ অবকাঠামো নির্মাণ ত্বরান্বিত করার চেষ্টাও করছে। বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থায় অধিক থেকে অধিকরত থাই ভোক্তা নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি কিনছেন। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে নিবন্ধিত বিশুদ্ধ বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজারটি, যা মোট নিবন্ধিত গাড়ির ১২ শতাংশ। এর মধ্যে চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রয়ের সংখ্যা ছিল ৬১ হাজারটি। গত জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত থাইল্যান্ডে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রয়ের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি ছিল, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।
থাইল্যান্ডের একজন ভোক্তা বলেন, ‘নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ি আমার জন্য খরচ সাশ্রয় করে। এটি হলো আমার বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার কারণ।’
বিওয়াইডি’র বিক্রয় ম্যানেজার চিদাপোল বদনপ্রীদা বলেন, চীনা ব্রান্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ির অনেক উপকারিতা আছে। থাই ভোক্তাদের সামনে এখন বাছাই করার সুযোগ বেশি। চীনা বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো থাইল্যান্ডে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
চীনা গাড়ি প্রতিষ্ঠানগুলোর থাইল্যান্ডে বিনিয়োগ, বিদেশী বাজার উন্নয়নের পাশাপাশি, থাই গাড়িশিল্পের রূপান্তর ত্বরান্বিত করছে। এ ছাড়াও, দু’দেশের মধ্যে নতুন জ্বালানিচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে সহযোগিতাও ত্বরান্বিত হচ্ছে। থাইল্যান্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ি সমিতির চেয়ারম্যান সুরা সানি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আগামী এক থেকে দুই বছরে, দু’দেশের বৈদ্যুতিক গাড়ির সহযোগিতা দ্রুত উন্নত হবে। আমি একটি বিরাট সহযোগিতা ও উন্নয়নের সুযোগ দেখছি।”