সিনচিয়াংয়ের রেলপথ
এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও সিচাং-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর সিচাং সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা সিনচিয়াং নিয়ে কথা বলব।
চলতি বছর সিনচিয়াংয়ের রেলপথে যাত্রী ও পণ্যের পরিবহন ছিল উল্লেখযোগ্য। এখন পর্যন্ত সিনচিয়াংয়ের রেলপথে মোট যাত্রীসংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাভ ৭৩ জন; গড়ে দৈনিক ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ জন, যা গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে ৯.৫ শতাংশ বেশি। একই সময়ে সিনচিয়াংয়ের রেলপথে মালামাল পরিবহন হয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.১ শতাংশ বেশি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিনচিয়াং রেলপথের যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সক্ষমতা বেড়েছে। যাত্রীদের জন্য সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। গেল গরমে যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য, সিনচিয়াং রেল বিভাগ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। উদ্যোগ গ্রহণের আগে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের চাহিদা বিশ্লেষণ করেছে। বিভিন্ন রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গরমের সময় মোট ৮৭২৫টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৪০টি বেশি; প্রবৃদ্ধি ৯.৩ শতাংশ।
গ্রীষ্মে সিনচিয়াং রেল বিভাগ ‘নতুন ওরিয়েন্টাল এক্সপ্রেস’, ‘থিয়ানশান নম্বর’ এবং ‘টাওয়ারের চারপাশে ভ্রমণ’-সহ বিভিন্ন ধারাবাহিক পর্যটনপণ্য যাত্রীদের সামনে পেশ করে। ৩২টি পর্যটন বিশেষ ট্রেন চালু করা হয় এবং সিনচিয়াংয়ে ভ্রমণকারী পর্যটকদের সেবায় বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬২টিতে, যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। ৫০ হাজার পর্যটক বিশেষ পর্যটনট্রেনে বসে, থিয়ানশান পর্বতমালার উত্তর ও দক্ষিণের চমত্কার দৃশ্যাবলী উপভোগ করেন। একই সঙ্গে, রেল বিভাগ, যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে, ট্রেনের বগি বাড়ানো উদ্যোগ নেয়।