বাংলা

জ্বালানিসম্পদ হ্রাসের মাধ্যমে অর্থনীতির কাঠামো পরিবর্তন

CMGPublished: 2024-01-29 16:20:02
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

হুপেই প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দাইয়ে হল 'জ্বালানিসম্পদ হ্রাসের মাধ্যমে অর্থনীতির কাঠামো পরিবর্তন' পরিকল্পনার একটি পরীক্ষামূলক শহর। শহরে 'তৃতীয় শিল্প' নতুন কৃষি শিল্পে সংযুক্ত হয়েছে। দাইয়ে এখন একটি নতুন শহরে পরিণত হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা আপনাদেরকে দাইয়ে শহরের 'পরিবেশ অর্থনীতি' উন্নয়নের গল্প শোনাবো।

তিন সহস্রাধিক বছর আগ দাইয়ে শহরে খনিজ শিল্প উন্নয়ন শুরু হয়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত যে, প্রাচীনকালে চীনের ব্রোঞ্জ দাইয়েতে উত্পন্ন হতো। এখানকার পাহাড়ে তামা ও লোহা আছে। সেজন্য পাহাড়টির রং অন্য পাহাড়ের মতো না।

দাইয়ে শহরকে অনেকে 'স্বর্ণস্থান' ও 'দক্ষিণ চীনের সম্পদের ঘাঁটি' বলে ডাকে। কয়েক হাজার বছর ধরেই দাইয়েতে খনিবিদ্যা ও ধাতুবিদ্যা শিল্পের উন্নতি ঘটেছে। বিশেষ করে, চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের নীতি কার্যকর হওয়ার পর দাইয়েতে খনিবিদ্যা ও ধাতুবিদ্যা আরও দ্রুত উন্নত হতে শুরু করে। কিন্তু ২০০৬ সালের পর দাইয়ে'র অর্থনীতির কাঠামো অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে এখানে খনিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক হ্রাস পেয়েছে। তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মান এবং পরিবেশের মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।

হুপেই ফেংচিয়াশান ওল্লাস্টোনাইট ফাইবার কোম্পানি হল ওল্লাস্টোনাইট ফাইবার অনুসন্ধান ও উত্পাদনকারী একটি কোম্পানি। কোম্পানির চেয়ারম্যান ওয়াং দে ছিয়াং দাইয়ে'র ফেংচিয়াশানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ওল্লাস্টোনাইট ফাইবার ব্যাপকভাবে প্লাস্টিক, পেইন্টস ও রংয়ে ব্যবহৃত হয়।

কিন্তু ওল্লাস্টোনাইট ফাইবার উত্পাদনের প্রযুক্তি ও বাজার যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানির একচেটিয়া দখলে ছিল বহু বছর ধরে। অন্যান্য দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্চ দাম দিয়ে মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে এই ফাইবার আমদানি করতে হতো। ওয়াং দে ছিয়াং আট বছর নিজের উত্পাদন-প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষণায় তিনি চীনের অন্যান্য কোম্পানি, রাশিয়া, ইউক্রেন, জাপান ও জার্মানির বিভিন্ন সংস্থার সাহায্য নেন। আগে প্রতি টন ফাইবার আমদানি করতে হতো ১৬ বা ১৭ হাজার ইউয়ান দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে ফেংচিয়াশান ওল্লাস্টোনাইট ফাইবার কোম্পানির নিজেদের তৈরী পণ্যের দাম তার মাত্র অর্ধেক। এ পর্যন্ত কোম্পানি চীনের এই বাজারের ৮০ শতাংশ দখল করেছে।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn