বাংলা

সিচাংয়ের অধিবাসীদের শিষ্টাচার (২)

CMGPublished: 2024-01-19 16:53:09
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও সিচাং তথা তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর সিচাং সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা সিচাং বা তিব্বত নিয়ে কথা বলব।

রসুন খাওয়া নিষিদ্ধ

তিব্বতিদের জন্য রসুন খাওয়া নিষিদ্ধ। কারণ, তারা বিশ্বাস করে যে, রসুনের তীব্র গন্ধ রয়েছে এবং মন্দির বা পবিত্র স্থানে রসুন গ্রহণকারীরা দুর্গন্ধ নিয়ে আসবে।

স্টোভের পাশে প্রস্রাব করা বা পার্টি করা নিষিদ্ধ

রান্নাঘরের পাথরের পাশে প্রস্রাব করা বা পার্টি করা নিষিদ্ধ। এতে রান্নাঘরের দেবতা ক্রুদ্ধ হবেন বলে বিশ্বাস করে তিব্বতিরা। তারা আরও বিশ্বাস করে যে, রান্নাঘরে প্রস্রাব করলে যৌনাঙ্গে ঘা হতে পারে, এমনকি অপরাধী মারাও যেতে পারে।

আগুনে হাড় নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ

তিব্বতে আগুনে কোনো প্রাণীর হাড় নিক্ষেপ করা নিষিদ্ধ। কারণ, এটা মৃত ব্যক্তিদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের সামিল।

আচারের পাত্রের উপর দিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ

তিব্বতে যে-কোনো আচারের পাত্রের উপর দিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। কারণ, এ ধরনের আচরণ বৌদ্ধধর্মের বিশ্বাসের পরিপন্থি। পাশাপাশি, তিব্বতিরা আচারের পাত্রে পা দেওয়াও অন্যায় গণ্য করে।

বাড়িতে শিষ দেওয়া নিষিদ্ধ

তিব্বতিরা সাধারণভাবে বাড়িতে শিস দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কারণ, শিস দেওয়া হয় মূলত ভূত তাড়ানোর জন্য।

প্রার্থনা-চাকা উল্টো দিকে ঘুরানো নিষিদ্ধ

তিব্বতিরা প্রার্থনা-চাকা উল্টানো অন্যায় গণ্য করে। এ ধরনের আচরণ বৌদ্ধ ধর্মের বিশ্বাসের পরিপন্থি কাজ।

বাটির সবটুকু চা একবারে পান করা নিষিদ্ধ

বাটির সবটুকু চা একবারে পান করা তিব্বতি শিষ্টাচারে নিষিদ্ধ। তিব্বতি সংস্কৃতিতে, চা নির্দিষ্ট ধর্মীয় ও প্রতীকী তাত্পর্য বহন করে। চা একটি মার্জিত পানীয় হিসাবেও গণ্য। তাই, বাটির সবটুকু চা একবারে পান করা উচিত নয়।

রাতে আবর্জনা ফেলা নিষিদ্ধ

তিব্বতে রাতে আবর্জনা ফেলা নিষিদ্ধ। কারণ, রাতে ময়লা-আবর্জনা বের করলে মৃতকে বিরক্ত করা হবে এবং সে বিপর্যয় ঘটাতে পারে।

বাড়ির কেউ অসুস্থ থাকলে বাইরের লোক প্রবেশ নিষিদ্ধ

বাড়িতে যদি কেউ অসুস্থ হয়, তবে বাইরের লোকের সেই বাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। এটি তিব্বতি জনগণের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথা। কারণ, তাদের বিশ্বাস, পরিবারের ওপর অশুভ প্রভাব এড়াতে, রোগীকে অশুভ আত্মা থেকে দূরে থাকা উচিত। একই সময়ে, এই প্রথার মাধ্যমে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয়।

প্রিয় শ্রোতা, আমাদের হাতে আর সময় নেই। আজকে এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। আজকের ‘সিনচিয়াং থেকে তিব্বত’ এ পর্যন্তই। তবে, আগামী সপ্তাহে আমরা আবার আপনাদের সামনে হাজির হবো সিনচিয়াং ও তিব্বতের কোনো গল্প বা তথ্যভান্ডার নিয়ে। আপনারা আমাদের লিখুন। আমাদের ইমেইল ঠিকানা ben@cri.com.cn আমাদের ওয়েবসাইটেও আপনারা অনুষ্ঠান শুনতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা: https://bengali.cri.cn/ সবাই ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn