সিনচিয়াংয়ে ভ্রমণের সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা সিনচিয়াং নিয়ে কথা বলব।
১. সিনচিয়াং চীনের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত, যেখানে একটি শুষ্ক জলবায়ু এবং দিন এবং রাতের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য রয়েছে। ভ্রমণের সময় নিজের স্বাস্থ্য ও সম্পদের সুরক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
২. সিনচিয়াং-এ ভ্রমণের সময় পাবলিক প্লেসে ও স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলার সময় ম্যান্ডারিন ব্যবহার করা ভালো। ইংরেজিও ব্যবহার করতে পারেন।
৩. সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন জায়গায় খাওয়া-দাওয়ার রীতিনীতিতে পার্থক্য আছে। যেসব খাবার পাওয়া যায়, তাও একেক এলাকায় একেকরকম হতে পারে। বিষয়টার দিকে খেয়াল রাখা ভালো।
৪. সিনচিয়াংয়ে অনেক পর্যটন আকর্ষণ আছে। পরিদর্শন করার সময় দয়া করে বিনয়ী হোন। ট্যুর চলাকালে, অনুগ্রহ করে ট্যুর গাইডের নির্দেশ অনুসরণ করুন এবং ইচ্ছামতো ঘোরাফেরা করবেন না।
৫. সিনচিয়াং হল জাতিগত সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত একটি এলাকা, এবং এর রীতিনীতি অন্যান্য অঞ্চল থেকে আলাদা। অনুগ্রহ করে আপনার সফরের সময় স্থানীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের রীতিনীতি এবং অভ্যাসকে সম্মান করুন।
৬. সিনচিয়াংয়ের পর্যটন রুটগুলো দীর্ঘ এবং নৈসর্গিক স্থানগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ ভ্রমণের সময় পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ দিতে এবং তাদের জিনিসপত্রের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও কিছু পরামর্শ
১. ভ্রমণের সময় আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র ও লাগেজ ট্যুর গাইড বা ড্রাইভারের কাছে অর্পণ করবেন না। অনুগ্রহ করে সেগুলি আপনার সাথে নিয়ে যান এবং ক্ষতি এড়াতে সঠিকভাবে রাখুন। অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের হেফাজতের জন্য অন্যকে দায়ী করা যাবে না।