বাংলা

তিব্বতের জোখাং মন্দির

CMGPublished: 2023-08-03 18:31:39
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা তিব্বত নিয়ে কথা বলব।

জোখাং মন্দিরের পরিচয়

জোখাং মন্দিরটি প্রাচীন লাসা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। এটিকে তিব্বতি ভাষায় ‘চুলাখাং’ ও ‘জুয়ে খাং’ বলা হয়, যার অর্থ ‘বৌদ্ধ হল’। কেউ একবার বলেছিলেন: ‘যদি আপনি জোখাং মন্দিরে না গিয়ে থাকেন, তবে আপনি লাসাতে যাননি’।

মন্দিরটি সর্বপ্রথম ৬৪৭ সালে সোংটসান গাম্পো কর্তৃক নির্মিত হয় নেপালের ‘ছি চুন’ রাজকুমারীর তিব্বতে আসা উপলক্ষ্যে। সে ১৩৬০ বছর আগের কথা। ক্রমাগত সংস্কার ও সম্প্রসারণের পর, জোখাং মন্দিরটি এখন ২৫ হাজার ১০০ বর্গ মিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে রয়েছে।

জোখাং মন্দিরের অভ্যন্তরে ২০টিরও বেশি হল রয়েছে। মূল হলটি চার তলা এবং এর দুই পাশে রয়েছে সহায়ক হল। মূল হলের মাঝখানে শাক্যমুনির একটি সোনালি ব্রোঞ্জের মূর্তি রয়েছে যা ছাংআন থেকে রাজকুমারী ওয়েনচেং এনেছিলেন। দুই পাশের সহায়ক হলের ভেতরে সোংটসান গাম্পো, রাজকুমারী ওয়েনচেং ও চিজুনের মূর্তি আছে। তিব্বতের এই প্রাচীনতম সিভিল স্ট্রাকচারটি বিভিন্ন ধরনের স্থাপত্য শৈলীর মিশেলে তৈরী। উদাহরণস্বরূপ, মূল হলের উপরের অংশটি হল সোনার ধাতুপট্টাবৃত তামা টাইলের ছাদ, যা চীনের থাং রাজবংশ আমলের হান শৈলীর; ওয়াচটাওয়ার এবং খোদাই করা বিমগুলো তিব্বতি শৈলীর; ১০৩টি কাঠে খোদাই করা জন্তু ও স্ফিঙ্কসগুলো নেপালি ও ভারতীয় শৈলীর।

জোখাং মন্দিরের পুনর্গঠন ও সুরক্ষা

১৯৬১ সালে, চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ একে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক অবশেষ সুরক্ষা ইউনিটের প্রথম ব্যাচ হিসাবে ঘোষণা করে; ২০০০ সালের নভেম্বরে, ইউনেস্কো জোখাং মন্দিরকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা’-য় পোতালা প্রাসাদের একটি সম্প্রসারণ প্রকল্প হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে। জোখাং মন্দিরের বিখ্যাত লামা নিমা সেরিং বলেন, ‘জোখাং মন্দিরে না আসা মানে লাসায় না আসা’। ২০০৯ সালের ৩ অক্টোবর জোখাং মন্দিরের পুনর্গঠন ও সুরক্ষাকাজ শুরু হয় এবং এই প্রকল্পে ১ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার ইউয়ান বরাদ্দ দেওয়া হয়।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn