তিব্বতের কথা
এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা তিব্বত নিয়ে কথা বলব
তিব্বত ভ্রমণের আনন্দ
আপনি যদি তিব্বতে আসেন, এই ভূমি আপনাকে স্বপ্ন দেখাবে; আপনি যদি তিব্বতে না আসেন, তবে এই ভূমি আপনাকে তার জন্য আকুল করে তুলবে; আপনি যদি তিব্বতের পথে পথে হাঁটেন, তবে আপনি স্বর্গে হাঁটার আনন্দ পাবেন।
রহস্যময় তিব্বতে প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত অনেক কিংবদন্তি ও স্বপ্নের জন্ম দিয়েছে। এখানে রয়েছে হাজার হাজার বছরের প্রাচীন ‘থাং ফান’ রাস্তা, পৃথিবীর ছাদ হিসেবে পরিচিত ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি, আছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট, আরও আছে সুন্দর স্ফটিক-স্বচ্ছ হ্রদ, এবং সর্বোপরি আছে একটি অনন্য তিব্বতি সংস্কৃতি। এখানে আছে মনোমুগ্ধকর এক পবিত্র প্রাসাদ। প্রতিবছর দেশ-বিদেশের বিপুলসংখ্যক পর্যটক দূরদূরান্ত থেকে স্রেফ এর আকর্ষণেও তিব্বতে আসেন; তাঁরা আসেন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পূজার জন্য।
যদি এক কথায় তিব্বতের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও সমগ্র ছিংহাই-তিব্বত মালভূমিকে বর্ণনা করতে বলা হয়, তাহলে ‘বিশ্বের ছাদ’ টার্মটি সবচেয়ে উপযুক্ত হতে পারে। ৩ কোটি বছর আগে ভারত মহাসাগরের প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে সংঘর্ষের সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ মালভূমির জন্ম হয়েছিল। সে থেকে এর উচ্চতা প্রতিবছর কয়েক সেন্টিমিটার করে বাড়তে থাকে। এখানে আছে সুউচ্চ ও মহিমান্বিত পর্বতমালা, দীর্ঘ নদী, বিস্তীর্ণ তৃণভূমি, সুমিষ্ট বন, গিরিখাত, শান্ত ও গভীর হ্রদ, এবং স্ফটিক-স্বচ্ছ হিমবাহ। এখানকার পবিত্র পাহাড় ও পবিত্র পানি কি স্বর্গে যাওয়ার পথ? নাকি এটি স্বয়ং স্বর্গের কাছাকাছি অবস্থিত একটি এলাকা? এ এক প্রশ্ন বটে।