আফ্রিকার সিংহ রক্ষাকারী চীনের সিংবা
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে আফ্রিকায় বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় নিয়োজিত একজন চীনা মানুষের গল্প শোনাবো। জঙ্গলের রাজা হিসেবে চিহ্নিত আফ্রিকান সিংহের সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। সেজন্য অধিক থেকে অধিকরত মানুষ বন্যপ্রাণী সুরক্ষার কাজে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে আফ্রিকায় গিয়ে সিংহ সুরক্ষার কাজে নামা প্রথম চীনা মানুষ হলেন সিংবা।
সিংবা আফ্রিকার তৃণভূমিতে দশ বছর ধরে আছেন। যদিও আফ্রিকায় থাকার পরিবেশ খবুই খারাপ, তবুও তিনি নিজের কাজ করতে খুবই পছন্দ করেন।
সিংবা হলেন আফ্রিকায় বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় ফুলটাইম কাজে নিয়োজিত প্রথম চীনা মানুষ। সোয়াহিলি ভাষায় সিংবা অর্থ হলো সিংহ। সিংবা আফ্রিকায় এ কাজ করার কারণ সম্পর্কে সাংবাদিককে বলেন, "আমি ছোটবেলায় 'বনের রাজা' শীর্ষক একটি চলচ্চিত্র দেখেছি। তখন থেকে আমি সিংহ পছন্দ করি। তখন থেকেই আমি আফ্রিকার সিংহ নিজ চোখে দেখতে চাইতাম। ২০০৫ সালে আমি আফ্রিকায় আসার সুযোগ পাই। আমি ও আমার বন্ধুরা মাসাই মারায় যাই। তখন আমার মনে হয়, নিজের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।"
২০১০ সালে সিংবা চীনে তার ভালো চাকরি ছেড়ে একা কেনিয়ায় আসেন। তখন থেকে তিনি বন্যপ্রাণী সুরক্ষার কাজ শুরু করেন। ২০১১ সালে তাঁর উদ্যোগে মারা বন্যপ্রাণী সুরক্ষা তহবিলের সামাই মারা ওল কিনইয়েই (Ol Kinyei) সুরক্ষা এলাকা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি আফ্রিকায় চীনা মানুষের উদ্যোগে প্রথম সেসরকারি গণকল্যাণ সংস্থা।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, "সিংহের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। ১০০ বছর আগে ২ লাখ ছিল। কিন্তু বর্তমানে ৩০ হাজারেরও কম। বাকিগুলো রক্ষা না-করলে সিংহ শীঘ্রই বিলুপ্ত হবে। সেজন্য আমি এখন সিংহ রক্ষার কাজ করি। আমার মনে হয়, সিংহগুলো হলো আমার পরিবারের সদস্য।"